এইদিন ওয়েবডেস্ক,নুহ(হরিয়ানা),০৪ আগস্ট : গত ৩১ জুলাই হরিয়ানার নুহ(Nuh) জেলার মেওয়াতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং মাতৃশক্তি দুর্গাবাহিনী দ্বারা আয়োজিত ‘ব্রজ মণ্ডল যাত্রা’য় অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার হিন্দু ভক্তদের উপর হামলা চালায় মুসলিম জনতা । ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট আদিব হুসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআরে জানানো হয়েছে যে সেই সময় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে পনবন্দি করে রাখা হয়েছিল । ওই সাম্প্রদায়িক হিংসায় এযাবৎ ৫ জনের মৃত্যু,৭০ জন আহত,শতাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে । দাঙ্গার পর ১৩৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ।
বৃহস্পতিবার উপদ্রুত গ্রামগুলিতে চলে পুলিশের তল্লাশি অভিযান । নুহের পুলিশ সুপার (এসপি) বরুণ সিংলা নিশ্চিত করেছেন যে বৃহস্পতিবার নুহ জেলার চারটি গ্রামে – সাঙ্গেল, মেওলি, জালালপুর নুহ এবং শিকারপুর – আরও সন্দেহভাজনদের জন্য অনুসন্ধান অভিযান চালানো হয়েছিল এবং কিছু লোককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বুলডোজারে ‘ন্যায়বিচার’ ব্যবস্থা’ আইন কার্যকর করতে শুরু করেছে নুহ প্রশাসন । নুহ জেলার টাউরুতে(Tauru) হরিয়ানার এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি জবরদখলী ২৫০ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর ঝুপড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । দাবি করা হচ্ছে যে ওই সমস্ত অনুপ্রবেশকারী আদপে রোহিঙ্গা মুসলমান ৷ আর তাদের বেশিরভাগই সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিল এবং এফআইআরে তাদের নামও আছে । বিগত চার বছর ধরে ওই সমস্ত পরিবারগুলি এইচএসভিপি-এর জমি জবরদখল করে ঝুপড়িতে অবৈধভাবে বসবাস করছিল । বৃহস্পতিবার প্রচুর পুলিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ওই ঝুপড়িগুলি বুজডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় নুহ প্রশাসন।
তবে পুলিশ সূত্রে খবর,মহাদেবের জলাভিষেক যাত্রায় হামলাকারীর বেশিরভাগ দাঙ্গাবাজ টাউরু এবং এর আশেপাশের এলাকা থেকে এসেছিল । পূণ্যার্থীদের উপর পাথর ছোড়া,দোকান ও লোকেদের উপর হামলার ঘটনায় তাদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি । এমনকি ওই প্রকার হিংসাত্মক কার্যকলাপের ফটো বা ভিডিও শেয়ার করেছিল ওই সমস্ত দুষ্কৃতীরা ।
সিসিটিভি ফুটেজ এবং ওই সমস্ত ভিডিও থেকে স্থানীয় পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়ির অবৈধভাবে নির্মিত অংশ বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে যে ভিএইচপি জলাভিষেক যাত্রাপথের যে সমস্ত জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে,উপদ্রুত নলহার (Nalhar)গ্রাম সহ ওই সমস্ত জায়গায় বুলডোজার চালানো হবে । এডিজিপি নরেন্দ্র বিরজানিয়া সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন, আমরা প্রধানত, অবৈধভাবে নিরিত কাঠামো ধ্বংস করেছি । আপনি একটি অবৈধ কাঠামো নির্মান করে থাকতে পারেন না এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন না ।’ উল্লেখ্য,এর আগেও নূহ পুলিশ কুখ্যাত অপরাধীদের অবৈধ সম্পত্তি, যার মধ্যে গরু পাচারকারী,খনি মাফিয়া,তোলাবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংস করেছে ।।