এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,০১ এপ্রিল : তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট কট্টরপন্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলোপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) মনোনীত প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছে । বড় জয় পেয়েছে দেশটির বিরোধী দলের প্রার্থীরা। ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাসহ দেশটির প্রধান প্রধান শহরে মেয়রপদে হেরে গেছে এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলোপমেন্ট পার্টি । রবিবার ( ৩১ মার্চ) তুরস্কে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে ৯৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। তুরস্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুলে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান পিপলস পার্টির( সিএইচপি) ইকরেম ইমামোগলু। ১০ লাখ ভোটে ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রার্থীকে হারিয়েছেন তিনি । রবিবার রাতে সমর্থকদের উদ্দেশে ইমামোগলু বলেন, যারা জাতির বার্তা বোঝে না, তারা শেষ পর্যন্ত হারবে। ইস্তাম্বুলের ১৬ মিলিয়ন নাগরিক আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রেসিডেন্ট উভয়ের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।
এদিকে, রাজধানী আঙ্কারায় সিএইচপি পার্টির মেয়র মনসুর ইয়াভাস তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন । ফলাফলকে ক্ষমতাসীন একে পার্টির নেতাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা বলে দাবি করেন ইয়াভাস। তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরেও সিএইচপি পার্টি এগিয়ে আছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে সিএইচপি পার্টি এগিয়ে আছে। এরদোগানের একে পার্টির অনেক শক্ত ঘাঁটিতে দলটি জয় তুলে নিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে, ফলাফল উদযাপন করতে ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছিলেন সিএইচপি পার্টির হাজার হাজার সমর্থক। তারা মশাল জ্বালিয়ে এবং তুর্কি পতাকা উড়িয়ে বিজয় উদযাপন করেন।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতায় এরদোগান জানান, তিনি স্বীকার করেছেন যে, তার দল বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। তবে তিনি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নেবেন এবং ভুল সংশোধন করবেন বলে জানান। এরদোগান ২০০২ সাল থেকে তুরস্কের ক্ষমতায় আছেন।
উল্লেখ্য,তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ভোটগ্রহণ শুরু হয় রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় । বাকি প্রদেশগুলোতে শুরু হয় এক ঘণ্টা পর অর্থা সকাল ৮টার দিকে । বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই রবিবারের স্থানীয় নির্বাচন তুরস্কের বিরোধী দলগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলি ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী শাসনের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে সরে যাওয়ার হুমকির মধ্যে রয়েছে।।