এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,৩১ জানুয়ারী : রামচরিত মানস নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যকারী উত্তরপ্রদেশে সপা নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্যর শিরোচ্ছেদকারীকে ২১ লাখ টাকা পুরষ্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন হনুমানগড়ির পুরোহিত রাজুদাস । একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন,’এনিয়ে সাধুসন্তদের মধ্যে আক্রোশের সৃষ্টি হয়েছে ৷ স্বামী প্রসাদ মৌর্য একটাও বলেছে,’হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভৌকে হাজার’ । উনি সাধুসন্ত ব্রাহ্মণদের কুত্তা বলেছেন ? এই কারনে আমি আহ্বান করছি যে স্বামী প্রসাদ মোর্যের যে শিরোচ্ছেদ করবে তাকে রাজু দাস ২১ লাখ টাকার পুরষ্কার দেবে । এর পাশাপাশি আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, উত্তরপ্রদেশে যারা রামচরিত মানস জ্বালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়া হোক । তা না হলে হিন্দু জনতা নিজেরাই ওদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে ।’
এদিকে এর উত্তরে এসপি নেতা মৌর্য টুইটারে লিখেছেন,’প্রতিটি অসাধ্য কাজকে সম্ভব করার ভান করা একটি ধামের বাবাকে নিয়ে খুব আলোড়ন হচ্ছে । তুমি কেমন বাবা যে সবথেকে শক্তিশালী পীঠের মহন্ত হয়েও শরীর থেকে মাথা আলাদা করতে সুপারি দিচ্ছ,অভিশাপ দিয়েও পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারতে, তাতে ২১ লাখ টাকা সাশ্রয় হত, আর আসল চেহারা প্রকাশ হতো না ।’
তবে মৌর্যর ওই টুইটের উত্তরে কেউ কেউ সমর্থন করলেও বহু মানুষ বিরোধিতা করেছেন । মৌর্যর সমর্থনে হাজি নাজিম খান লিখেছেন,’অন্ধ ভক্তি মাথায় চাপলে এইসব কথা বেরিয়ে , এমন লোকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে যারা ২১ লাখ পুরস্কারের কথা বলে, হিংসা ছড়ায়, এত টাকা কোথা থেকে আসে যারা এই ধরনের কথা বলে,এটা তদন্তের বিষয় ।’ বাবর আলি নামে একজন মৌর্যর সমর্থনে লিখেছেন,’একদম ঠিক বলেছেন ।’
অন্যদিকে নিশহান্ত নামে এক টুইটার ইউজার্স লিখেছেন, ‘মৌর্য জি- দলত্যাগ, ক্ষমতার ক্ষুধা, অহংকার আপনার মনে এমনভাবে শিকড় গেড়েছে যে আপনি হিন্দুদের অনুভূতিকে আঘাত করতে শুরু করেছেন এবং আপনি অখিলেশ যাদবের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন। আপনার এই কাজটি সমাজবাদী পার্টির ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে এবং প্রতিটি রাম ভক্ত ইউপিকে সমাজ পার্টি মুক্ত করবে ।’
জিগনেশ যোশী লিখেছেন,’বিনাশ কালো বিপরীত বুদ্ধি। সময় কখনই রামের বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করে না। ইতিহাস সাক্ষী, দুর্গের দরজা ভিতর থেকে খোলে। কিন্তু হিন্দুরা এখন বুঝতে পেরেছে তোমাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। রাম দীর্ঘজীবী হোক।’
উল্লেখ্য,রবিবার সকালে বৃন্দাবন কলোনিতে রামচরিত মানসের কপিগুলি ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলে ওবিসি মহাসভার নেতারা । তারা এসপি নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্যের সমর্থনে স্লোগান দেয় । এদিকে রামচরিত মানসের কপি পোড়ানো নিয়ে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রীমো মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘মুঘল গার্ডেন’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘অমৃত উদ্যান’ রাখার তীব্র বিরোধিতা করেছেন । অনেকে এই বিষয়টি অখিলেশের মুসলিম তোষামোদের রাজনীতি হিসাবে কটাক্ষ করেছেন ।।