এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,০৪ নভেম্বর : ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে নিরীহ ফিলিস্থিনি নাগরিকরা ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের কাছে যে কত বড় অস্ত্র তা ফের একবার প্রমান পাওয়া গেল । যুদ্ধ থেকে বাঁচতে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় পালানোর চেষ্টা করায় অগনিত শিশু ও মহিলাকে নির্বিচারে গুলি করে মেরে ফেলেছে হামাস সন্ত্রাসীরা । আমজাদ তাহা নামে জনৈক এক ‘এক্স’ ইউজার্স লিখেছেন,’এইমাত্র, হামাসের স্নাইপাররা উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় পালানোর চেষ্টাকারীদের এবং শান্তির চিহ্ন হিসাবে সাদা পতাকা প্রদর্শনকারীদের লক্ষ্য করে রাস্তায় ডজন ডজন শিশু ও মহিলাকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। একই ধরনের কর্মকাণ্ড এর আগে সিরিয়ায় ফিলিস্তিনি ও হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসীরা করেছিল ।’
তিনি আরও লিখেছেন,’তারা চায় না বেসামরিক মানুষ চলে যাক; তারা তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চায় এবং যে কেউ চলে যাওয়ার চেষ্টা করে তাকে হত্যা করতে চায়। গাজার হামাস সন্ত্রাসীরা, যথারীতি ইসরায়েলকে দোষারোপ করবে কারণ এমন কিছু মিডিয়া রয়েছে যারা তাদের এই প্রচারকে সত্যি বলে গ্রহণ করে ।’
আমজাদ তাহা একটা ভিডিও শেয়ার করেছেন । ভিডিওটি পোস্ট করেছে মোটরসাইকেলে যাওয়া হামাসের সন্ত্রাসীরা । ভিডিওতে রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসংখ্য মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে । ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,’সংবেদনশীল বিষয়বস্তু সতর্কতা । দখলদার বোমা হামলার পর গাজার পশ্চিমে আল-রশিদ স্ট্রিটে এখন ভয়ঙ্কর দৃশ্য, রাস্তার মাঝখানে বাস্তুচ্যুত মানুষ! ফটোগ্রাফার কান্নাকাটি করে বলছেন,হে ঈশ্বর, আমাদের মানুষকে রক্ষা করুন । এমনকি বাস্তুচ্যুতদের পর্যন্ত ইহুদিবাদীরাও হত্যা করেছে ।’
যদিও হামাস সন্ত্রাসীর দাবি অনুযায়ী বিমান থেকে ‘বোমা হামলা’র কোনো প্রমান ছিল না ভিডিওতে । সন্ত্রাসীদের এই প্রকার দাবি আমজাদ তাহাও মেনে নিতে পারেননি । তিনি অন্য একটি পোস্টে এনিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘ভিডিও উৎসে সংবেদনশীল বিষয়বস্তু ছিল, তাই আমি এটি আপলোড করিনি। আপনি পোস্ট থেকে দেখতে পারেন,সেই একই দোষারোপ, তারা বলছে যে ‘বিমান হামলা’? এটি কি বিমান হামলার মত দেখাচ্ছে ?’