এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৭ মে : বাংলাদেশে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদার বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে বন্দি রয়েছেন । মঙ্গলবার তাকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় । পিকে হালদারের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্নার অভিযোগ, কারাগারের অভ্যন্তরে পরপর দু’বার হামলার শিকার হয়েছেন তার মক্কেল । প্রথমবার হামলা হয় চলতি বছরের গত ১৮ এপ্রিল আলিপুরে প্রেসিডেন্সি কারাগার । দ্বিতীয় বার গত ২২ এপ্রিল সেলের বাইরে তিনি যখন পত্রিকা পড়ছিলেন, তখনই আচমকা তার ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই ঘটনাতেই সামান্য আহত হন তিনি। তবে আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হামলায় অভিযুক্ত হাফিজুল মোল্লা বসিরহাটের বাসিন্দা। গত বছরের জুলাই মাসের গোড়ার দিকে এই হাফিজুলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কালীঘাটের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকার অভিযোগ উঠে। রাতভর মমতার বাড়িতে লুকিয়ে থাকার পর নিরাপত্তার রক্ষীরা অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর কালীঘাট থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তবে কারাগারের ভেতরে ভিন দেশীয় এক বন্দির উপর কেন সে হামলা চালালো তা স্পষ্ট নয় । সিবিআই স্পেশাল কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না জানান, কারাগার কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে, তারাই হামলার মোটিভ সম্পর্কে বলতে পারবে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি ।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ মে কলকাতার অনতিদূরে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেপ্তার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের । গত ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। বর্তমানে পিকে হালদারসহ ৫ জন প্রেসিডেন্সি কারাগারে এবং সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে । মঙ্গলবার পিকে হালদারসহ মোট ছয় অভিযুক্তকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হয় । উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আগামী ৭ জুন বিচারক মামলার পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন ।।