এইদিন ওয়েবডেস্ক,মেনপুরী,২৮ জানুয়ারী : মাজারে পড়তে যাওয়া ৮ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাফিজের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেনপুরী(Mainpuri) জেলার কিশনি (Kishni) থানা এলাকায় । নির্যাতিতা কিশোরী বাড়িতে এসে ঘটনার কথা জানালে পরিবারের সদস্যরা হাফিজকে ধরে বেদম পেটায় । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে । জানা গেছে, প্রাথমিক জেরায় ধর্ষণের কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত । তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি সাফাই দেয়, ‘শয়তান ভর করেছিল’ বলেই সে এই দুষ্কর্ম করে ফেলেছে । নির্যাতিতার বাবা হাফিজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছেন । অভিযোগের ভিত্তিতে হাফিজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতের নাম জামাল আহমেদ (৫২) । ধৃতকে আদালতে তোলার পাশাপাশি নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ।
জানা গেছে,বারাবাঙ্কির বাসিন্দা হাফিজ জামাল আহমেদ বিগত ৯ বছর ধরে কিশনি থানা এলাকার অন্তর্গত একটি গ্রামের ওই মাজারে উর্দু পড়াচ্ছেন । তাঁর বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও একাধিক পুত্রকন্যা । মাস ছয়েক আগে এক ছেলে এসে বাবার সঙ্গে মাজারে থাকছিল । ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেল ৪ টা নাগাদ । ওইদিন আট বছর বয়সী ওই মেয়েটি তার বন্ধুর সাথে মাজারে উর্দু পড়তে গিয়েছিল । তারা মাজারে যেতেই জামাল আহমেদ মেয়েটির বন্ধুকে বাইরে পাঠিয়ে দেয় । এরপর ফাঁকা ঘরে ওই কিশোরীকে সে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,পরে নির্যাতিতা তার বন্ধুকে ঘটনার কথা জানায় । তারপর মেয়েটির বন্ধু বাড়ি ফিরে এসে হাফিজের কুকীর্তির কথা জানিয়ে দেয় । পরিবারের সদস্যরা নির্যাতিতা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তখন সে জানায়, হাফিজ তাকে শপথ করিয়ে নিয়েছিল যাতে সে তার পরিবারের সদস্যদের ঘটনা সম্পর্কে কিছু না জানায় । এর পরেই পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজারে চড়াও হয়ে অভিযুক্ত হাফিজকে ব্যাপক মারধর করে । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে । অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা ।।