এইদিন ওয়েবডেস্ক,গোয়ালিয়র,২৯ এপ্রিল : ‘লাভ জিহাদ’-এর শিকার হিন্দু তরুনীকে ধর্ষণকারী মৌলবীকে গ্রেফতার করল মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ডাবরা থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম ওসামা খান । বুধবার সিমরিয়া গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করার পর আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । নির্যাততার কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, হালারার নামে ‘তোকে পবিত্র হতে হবে’ বলে তাঁকে ধর্ষণ করে ওসামা । আর সেই সময় ঘরের বাইরে পাহাড়া দিচ্ছিল তরুনীর স্বামী তথা ঘটনার মূল অভিযুক্ত ইমরান খান । গ্রেফতার করা হয়েছে তরুনীকে ধর্ষণকারী তাঁর দুই দেবর পুন্নি ও আমান খানকেও । ঘটনার অন্যতম চক্রী ইমরানের মা সুগা বেগমকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,মাদ্রাসার পাশেই মৌলবী ওসামা খানের তিনতলা বাড়ি রয়েছে । সেখানেই সে পরিবার নিয়ে বসবাস করে । সে এভাবে আর কোনও মেয়েকে লালসার শিকার বানিয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছিল পুলিশ ।
প্রসঙ্গত,পরিচয় গোপন রেখে ওই হিন্দু তরুনীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে হিন্দুমতে বিয়ের পর বাড়িতে তুলেছিল ইমরান খান । যদিও পরে তাঁকে চাপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয় । তরুনী অন্য সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাঁকে হালালার মাধ্যমে ‘শুদ্ধ’ হওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে মৌলবী ওসামা খান । ২০২১ সালের জুনের পর থেকে ইমরান,তার দুই ভাই পুন্নি ও আমান,ইমরানের এক ভগ্নিপতি,মাওলানা ও অন্য দুইজন ৭-৮ মাস ধরে তরুনীকে লাগাতার ধর্ষণ করে ।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না তরুনীর । একটি ঘরের মধ্যে সারাক্ষণ আটকে রেখে দেওয়া হত তাঁকে । কেবল বাথরুমে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হত । রোজ নতুন নতুন লোকেদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে তরুনীকে পতিতাবৃত্তির ব্যবসায় ঠেলে দিয়েছিল ইমরানের মা সুগা বেগম । এরই মাঝে একদিন ইমরানের ভগ্নীপতি ধর্ষণের পর ভূল করে দরজা খুলে রেখে চলে গেলে সেই সুযোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় নির্যাতিতা । তারপর বোনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা খুলে বললে চাঞ্চল্যকর এই লাভ জিহাদের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে । তরুনীর আশঙ্কা যে কোনও সময় তাঁর উপরে হামলা চালাতে পারে ইমরামের দলবল । যদিও পুলিশ তাঁকে আশ্বস্ত করেছে ।।