শেখ মিলন,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১৬ ডিসেম্বর : বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছোট্ট চায়ের দোকান । আর সেই দোকান থেকে যেটুকু উপার্জন হয় তা দিয়েই অতিকষ্টে স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে তিন জনের সংসার চালান । কিন্তু অভাবের মাঝেও পরোপকারী মানসিকতা ভোলেননি পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের বিপরীত দিকে থাকা ওই চায়ের দোকানের মালিক পাঞ্জাব শেখ । আসলে,কয়েকদিন ধরে প্রবল শৈত প্রবাহ চলছে । আর দোকানের আশেপাশে বসবাসকারী কিছু দুঃস্থ মানুষকে শীতে ভীষণ কষ্ট পেতে দেখেন তিনি । তাদের এই প্রকার কষ্ট পেতে দেখে পাঞ্জাব শেখের সংবেদনশীল মনে আঘাত করে । আর তার টানে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু স্ত্রী- পুরুষদের হাতে তুলে দিলেন নতুন কম্বল ।
জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা পাঞ্জাব শেখ। গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের বিপরীত দিকে তাঁর একটি ছোট্ট চায়ের দোকান। আর এই দোকান থেকে যা উপার্জন হয় স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে কোনরকম সংসার চলে পাঞ্জাবের। তবে তাঁর মানবিক কর্মকাণ্ড এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িছে । এর আগেও কনকনে ঠান্ডায় অসহায় মানুষদের প্রতিনিয়ত কম্বল বিতরণের মধ্য দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি ।
পাঞ্জাববাবু বলেন,’কনকনে এই ঠান্ডায় আমরা মোটা শীতের পোশাক পরার সত্বেও ঠান্ডা সহ্য করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ আছে যাদের কাছে শীতের পোশাক সেভাবে থাকে না। দোকানের সামনে দিয়ে ওই ধরনের মানুষ পেরিয়ে যেতে দেখলে প্রচন্ড কষ্ট হয় তাঁর। তাই সামর্থ মত তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি ।’ আগামী দিনেও এইভাবে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান পাঞ্জাব বাবু। পাঞ্জাব বাবুর এই কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় মানুষ। স্থানীয়রা জানান ,পাঞ্জাব শুধুমাত্র শীতবস্ত্র বিতরণই নয়, গুসকরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কোন অসহায় মানুষজন নজরে পড়লেই তাঁর দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি পথ সারমেয়দের প্রতিনিয়ত খাবার দিয়ে থাকেন পাঞ্জাব। একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালিয়েও যে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় তার একটা জলন্ত উদাহরণ হলেন পাঞ্জাব শেখ। পাঞ্জাব বড় মনের মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন তারা ।।