জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),০১ অক্টোবর : প্রতিশ্রুতি ছিল পরিচ্ছন্নতা ও আলো ঝলমলে শহর গড়ে তোলা। পরিচ্ছন্নতার কাজ সকাল-সন্ধ্যে নিয়মিত চলে। এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন আছে পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পুরসভার সাফাই কর্মীরা। পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কমিশনাররাও প্রায়শই সাফাই কর্মীদের সঙ্গে থাকেন । মাঝে মাঝে নিজেরাও হাত লাগায়। ফলে সাফাই কর্মীদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ দেখা যায়। পুজোর সময় পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অতিরিক্ত গুরুত্ব পেয়েছে।
শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তার বিভিন্ন অংশ যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। এদিকে পুজোর সময় শহরে দর্শনার্থীদের চাপ বাড়বে। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা একটা থেকেই গিয়েছিল। কিন্তু সমস্ত আশঙ্কা দূর করে পুর কর্তৃপক্ষ সেগুলি মেরামতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। আপাতত ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো মেরামত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী ।
পুজো বা অন্য সময় শহরে অসামাজিক কাজ বন্ধের লক্ষ্যে পুর কর্তৃপক্ষ শহর জুড়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আগেই চারটি উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। পঞ্চমীর দিন আটটি বাতিস্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়। ৬, ৩, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি করে এবং ১০ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি করে উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানো হয়। খুব শীঘ্রই বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরও ছয়টি বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। ইতিমধ্যে সেগুলির প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের আশা কালী পুজোর আগেই সেগুলো বসানোর কাজ শেষ হবে ।
শুক্রবার বাতিস্তম্ভগুলি উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও কর্মীরা, কাউন্সিলার সুমন্ত ঘোষ এবং পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ তৃণমূল কর্মী পিণ্টু ঘোষ ও অন্যান্যরা।
বিধায়ক বলেন,’পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দেওয়ার ব্যাপারে আমরা শহরবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সেই কাজটাই করে চলেছি। এব্যাপারে আমাদের চেয়ারম্যান সহ প্রতিটি কাউন্সিলার যথেষ্ট সচেতন আছে। আশাকরি পুজোর সময় সমস্ত ধরনের পরিষেবা পুরবাসীরা পাবেন।’
অন্যদিকে চেয়ারম্যানের বক্তব্য,’পুজোর সময় অতিরিক্ত চাপ থাকলেও আমাদের সবার প্রিয় শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বাতিস্তম্ভগুলো পুরসভার সম্পত্তি ।’ শুধু পুজো নয় অন্য সময় শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য তিনি প্রত্যেকের কাছে আবেদন করেন। তিনি আরও বলেন,’অভিভাবক হিসাবে মাথার উপর আমাদের বিধায়ক থাকায় কাজের ক্ষেত্রে আমাদের খুব সুবিধা হয় ।’।