এইদিন ওয়েবডেস্ক,আমেদাবাদ,০৫ অক্টোবর : গুজরাটের আমেদাবাদ জেলার একটি স্কুলের ছোট ছোট হিন্দু পড়ুয়াদের দিয়ে নামাজ পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে স্কুলের জনৈক মুসলিম শিক্ষকের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদ জেলার ঘাটলোদিয়া বিধানসভার ক্লোরেক্স ফিউচার স্কুলে(KALOREX FUTURE SCHOOL) । নামাজ পড়ানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনগুলি । ওই স্কুলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে । এদিকে বেগতিক বুঝে মঙ্গলবার(৩ অক্টোবর ২০২৩) স্কুলের তরফে মুচলেকা দিয়ে জানানো হয় যে ভবিষ্যতে এমন ভুল আর কখনো হবে না ।
সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে,সম্প্রতি ঘাটলোদিয়া বিধানসভার ক্লোরেক্স ফিউচার স্কুলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় । সেই অনুষ্ঠানে স্কুলের জনৈক মুসলিম শিক্ষক শিশুদের প্রার্থনা করার পদ্ধতি শেখানোর বাহানায় হিন্দু পড়ুয়াদের নামাজ পড়তে বাধ্য করে বলে অভিযোগ ।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি পড়ুয়া মাথায় টুপি পড়ে চাদর বিছিয়ে নামাজ পড়ছে । তার সামনে বসে আছে স্কুলের অনান্য পড়ুয়ারা । নামাজ পড়া পড়ুয়া উঠে দাঁড়ালে আরও ৪-৫ জন পড়ুয়া তার কাছে আসে । তখন ওই শিক্ষক পড়ুয়াদের সামনে অন্য একটি মাইক্রোফোন এগিয়ে দেয় । তারপর শিক্ষক কিছুটা পাশে রাখা একটা বাদ্যযন্ত্র বাজাতে থাকে এবং পড়ুয়াদের প্রার্থনা করার জন্য ইশারা করে । তখন সকল পড়ুয়ারা নামাজ পড়ার ধাঁচে দু’হাত এক করে গুজরাটি ভাষায় কিছু একটা প্রার্থনা করে । যদিও হিন্দু পড়ুয়াদের মধ্যে কিছুটা সঙ্কোচ লক্ষ্য করা যায় । এই ভিডিও নজরে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । অনেকে প্রশ্ন তোলেন যে যদি এটা মুসলিম পড়ুয়াদের সাথে হত তাহলে কি মুসলিম সমাজ মেনে নিত ?
এদিকে ভিডিওটি হিন্দু সংগঠনগুলির নজরে পড়লে তারা স্কুলে জড়ো হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনকারী মুসলিম শিক্ষককে হেনস্থা করে তারা । অবিভাবকদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগে বকরি ঈদেও অনুরূপ কার্যকলাপের নামে হিন্দু পড়ুয়াদের নামাজ পড়তে শেখানো হয়েছিল । এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মঙ্গলবার স্কুলের তরফে একটি লিখিত ক্ষমাপত্র জারি করে বলা হয়, ‘এমন ভুল আর কখনো হবে না,আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি যে এটি বজায় থাকবে । স্কুলের সকল অভিভাবকদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী ।’
যদিও হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি,ইতিপূর্বেও এমন ঘটনা ঘটেছে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে নিস্তার পেয়ে গেছে । এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য তারা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের কাছে দাবি জানিয়েছেন যে ওই স্কুলের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হোক । অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারিভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।।