এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৪ মার্চ : অনেক বেলা পর্যন্ত নাতি ঘুম থেকে উঠছে না দেখে ডাকতে গিয়েছিলেন দিদিমা । কিন্তু দরজা ঠেলে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই নাতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি । আর এই দৃশ্য দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ৬৫-র ওই বৃদ্ধার । ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া থানার পানুহাট এলাকায় । মৃতদের নাম রাজা দাস(২২) ও মিনতি দাস । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকার বাসিন্দারা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রাজা দাস নামে ওই যুবক জনমজুরির কাজ করতেন ৷ তাঁরা তিন ভাই । তিনি বড়। মেজ ভাই একটি সব্জির দোকানে কাজ করেন । তিনি ওই দোকানেই থাকেন । ছোট ভাই ভিনরাজ্যে কাজ করে । মা পূর্ণিমাদেবী, দিদিমা মিনতি দাসের সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন রাজা । পূর্ণিমাদেবীর স্বামী কয়েকবছর আগে নিখোঁজ হয়ে যান । তারপর থেকে তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,বুধবার পূর্ণিমাদেবী মঙ্গলকোটের ছোটপোশলা গ্রামে বোনের বাড়ি গিয়েছিলেন । বাড়িতে ছিলেন রাজা ও তাঁর দিদিমা । তাঁরা রাতে পাশাপাশি দুটি ঘরে শুয়েছিলেন । এদিন সকালে মিনতিদেবীর চিৎকার করে উঠলে প্রতিবেশীরা ছুটে যান । তখন তাঁরা ঘরের মধ্যে রাজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান । এদিকে ওই ঘরের দরজার কাছেই অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন মিনতিদেবীকে । প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন ।
প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, প্রেমঘটিত কারনে মানসিক অবসাদে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন রাজা দাস নামে ওই যুবক । এদিকে এদিন অনেক বেলা পর্যন্ত নাতি ঘুম থেকে উঠছে না দেখে তাকে তুলতে যান মিনতিদেবী । তারপর দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকতেই নাতির দেহ ঝুলতে দেখে চিৎকার করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে অনুমান স্থানীয়দের ।।