এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,২৯ ডিসেম্বর : উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলার বিধুনা থানা এলাকায় মাত্র ১৩ বছরের একটি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মেয়েটির দাদু-বাবা ও কাকার বিরুদ্ধে । মেয়েটিকে বিগত এক বছর ধরে ওই ৩ নরপশু কামনার শিকার বানিয়েছিল। মেয়েটি যখন ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে,ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার ভয়ে তারা মেয়েটিকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু করে। নির্যাতিতা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তার ভয়ঙ্কর কাহিনী শুনে পুলিশ সদস্যরাও হতবাক হয়ে যান। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৪(এফ),৬৫(১),২৩২ ধারায় তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনেও অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। আউরাইয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) অলোক মিশ্র বলেছেন যে মেয়েটি শুক্রবার এক মহিলা আত্মীয়ের সাথে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তারপরে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং তদন্ত শুরু হয়েছিল।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানায়,প্রায় এক বছর ধরে তার দাদু, বাবা ও কাকা তাকে লালসার শিকার বানিয়ে ছিল । মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় এবং প্রাথমিকভাবে জানা যায় সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এএসপি জানিয়েছেন,বর্তমানে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে স্থানীয় আদালতে হাজির করা হয়, যেখান থেকে তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দিল্লিতে বসবাসকারী নির্যাতিতার মা তার পরিবারের সদস্যদের আচরণে অসন্তুষ্ট। তিনি তার খালাকে নিয়ে থানায় পৌঁছেছেন ।
উল্লেখ্য,গত অক্টোবরেও আউরাইয়া জেলার একটি গ্রামে ৬ বছরের একটি মেয়ের উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। এখানে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তি মেয়েটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর পর সে পলাতক। মেয়েটিকে কাঁদতে দেখে কেউ তাকে বাড়ির বাইরে ফেলে রেখে চলে যায়। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সদর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা আউরাইয়া কোতয়ালী এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঠেলাগাড়িতে শব্জির ব্যবসা করেন ।।