এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ আগস্ট : শ্রাবণ মাসে হুগলির তারকেশ্বরে মহাদেবের জলাভিষেকের জন্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থীদের সমাগম হয় । এবারেও হয়েছে । গঙ্গার নিমাই তীর্থ ঘাটে স্নানের পর কলসে গঙ্গাজল ভরে বাঁকে করে বেশ কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তারকেশ্বরের মহাদেবের জলাভিষেক করেন পূণ্যার্থীরা । কিন্তু এবারে গঙ্গার ঘাটে স্নানের জন্য পূণ্যার্থীদের কাছ থেকে রাজ্য সরকার মাথাপিছু ১০ টাকা করে উসুল করছে বলে অভিযোগ উঠছে ৷ জনৈক এক পুণ্যার্থীর একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় । যে ভিডিওটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । এনিয়ে তিনি মমতা ব্যানার্জির সরকারের ‘ধর্মবিরোধী ও মৌলবাদ পোষক মানসিকতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ’ বলে অবিহিত করেছেন ।
ভিডিওতে ওই পূণার্থীকে বলতে শোনা গেছে,’এই যে দিদির উন্নয়ন । গঙ্গা স্নান করতে যাব, আর দশ টাকা করে টিকিট লাগছে ।’ এরপর তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘জয় বাংলা ।’ যুবক আরও বলেন,’গঙ্গাস্নানের জন্য ১০ টাকা করে টিকিট লাগছে । গঙ্গায় চান করবো…যেখানে জলের কোন অভাব নেই, লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থী কি আসছে ৷ সেখানে দশ টাকা করে লাগছে । ঘাটে যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে ঢুকতে হচ্ছে ।’ ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘জিজিয়া কর এখন হিন্দুদের দিতে হচ্ছে ।’
প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন,’রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন,’পবিত্র গঙ্গাস্নানেও হিন্দু বিরোধী তৃণমূল সরকারের জুলুমবাজি! বৈদ্যবাটী নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে তারকেশ্বর ধামের উদ্দেশ্যে যাত্রারত শিবভক্ত পুণ্যার্থীদের থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা করে “ফি” আদায় করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার! হিন্দুদের ধর্মীয় আচারে এমন জোরপূর্বক অর্থ আদায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ধর্মবিরোধী ও মৌলবাদ পোষক মানসিকতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা কি নিছক অর্থ আদায়ের অজুহাত, নাকি বাঙালি হিন্দুদের উদ্দেশ্যে একটি নিঃশব্দ বার্তা যে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের ধর্মাচরণও কর আদায়সাপেক্ষ?’
যদিও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সুকান্ত মজুমদারের এই ধরনের দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছে । সুকান্ত মজুমদারের ওই পোস্টটি রাজ্য পুলিশের এক্স হ্যান্ডেল ট্যাগ করে লিখেছে, ‘বৈদ্যবাটী নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে পবিত্র গঙ্গা জল নেওয়ার জন্য পুণ্যার্থীদের কাছে থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোন “ফি” আদায় করছে না।’ তবে সাধারণত “ভুয়ো’ খবর প্রচারের জন্য কেস করার হুমকি দিয়ে থাকে রাজ্য পুলিশ । কিন্তু এক্ষেত্রে সেই ধরনের কোন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি ।।