• Blog
  • Home
  • Privacy Policy
Eidin-Bengali News Portal
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
Eidin-Bengali News Portal
No Result
View All Result

গোলাহাট গণহত্যা : ৪৭৮ জন মাড়োয়ারি হিন্দুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করে পাকিস্তান সেনা,বাঙ্গালি রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনী

Eidin by Eidin
June 14, 2025
in রকমারি খবর
গোলাহাট গণহত্যা : ৪৭৮ জন মাড়োয়ারি হিন্দুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করে পাকিস্তান সেনা,বাঙ্গালি রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনী
5
SHARES
65
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Whatsapp

দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৩ জুন ৷ বাংলাদেশের সৈয়দপুর শহরে এইদিনে সবচেয়ে বড় গণহত্যা হয়। শহরের ৪৭৮ জন মাড়োয়ারি পরিবারের সদস্যকে ট্রেনে করে নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ট্রেনে তোলা হয়। এরপর রেলওয়ে কারখানার উত্তর প্রান্তে সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাঁদের সর্বস্ব লুটে নেওয়া হয়। শিশুদের পর্যন্ত নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।সেদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী অবাঙ্গালী বিহারী ও বাঙ্গালি রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী সম্মিলিতভাবে নির্বিচারে হিন্দুদের নরসংহাএ করে। গোটা এলাকা পরিণত হয়েছিলো লাশের মহাসমুদ্রে। 

ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের অধিভুক্ত সৈয়দপুর একটি রেলওয়ে টাউন এবং ব্যবসায়কেন্দ্র। আগে এটি নিলফামারী জেলার অন্তর্গত ছিল। অবিভক্ত ভারতবর্ষে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের উত্তরপুর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সংযোগস্থল ছিল। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে বাস করতেন বিপুল সংখ্যক মাড়োয়ারি । ব্যবসায়-বাণিজ্যের সুবিধার জন্য এ অঞ্চল মারোয়াড়ি ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক, যাঁরা ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের বহু আগেই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে এসে এই শহরে থেকে যান। ক্রমে এরা স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে যান সৈয়দপুরেই।

মুক্তিযুদ্ধ শুরুর তিনদিন আগে ২৩ মার্চ রাত থেকে সৈয়দপুরে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর সৈয়দপুরের বিহারিরা বাঙালি নিধন শুরু করে। মহল্লায়-মহল্লায় ঢুকে নেতৃস্থানীয় বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিল শহরের মাড়োয়ারিপট্টির বাসিন্দাদের। ২৪ মার্চ থেকে সৈয়দপুর শহরের বাঙালি পরিবারগুলো পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে । সৈয়দপুরের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে স্থানীয় মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের শীর্ষব্যক্তিত্ব তুলসীরাম আগরওয়ালা, যমুনাপ্রসাদ কেডিয়া, রামেশ্বর লাল আগরওয়ালাকে ১২ এপ্রিল রংপুর সেনানিবাসের অদূরে নিসবেতগঞ্জ বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী । মাড়োয়ারিপট্টিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিহারিরা মাড়োয়ারিদের প্রতিটি বাড়িতে লুটতরাজ চালায়। 

এর মধ্যে চলে এলো জুন মাস। জুন মাসের ৫ তারিখে হঠাৎই পাকিস্তানি বাহিনী মাইকে ঘোষণা শুরু করে। ঘোষণায় বলা হয়, “যাঁরা হিন্দু মাড়োয়ারি তাঁদের নিরাপদ স্থান ভারতে পৌঁছে দেওয়া হবে। একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনটি ১৩ জুন মাড়োয়ারিদের বর্ডার অব্দি পৌঁছে দেবে।” তখনো কেউই অনুমান করতে পারেনি কি তাদের সঙ্গে কি প্রকার নৃশংসতা ঘটতে চলেছে। 

৫ দিন ঘোষণা চলে আর এদিকে নিরীহ মাড়োয়ারীরা বুক বেঁধেছে আশায়। আগের রাত থেকেই সাড়ে চারশর বেশি মাড়োয়ারি অপেক্ষমান সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে। ট্রেনে যদি জায়গা না পাওয়া যায় সেই আশঙ্কায় আগেই হাজির হয়ে গিয়েছিলেন মাড়োয়ারিরা। ভোর পাঁচটার দিকে ট্রেন আসতেই ট্রেনের চারটি বগিতে গাদাগাদি, হুড়োহুড়ি করে উঠে পড়েন মাড়োয়ারিরা। বাক্স পেটারা আর মানুষে পূর্ণ তখন ট্রেন। অপেক্ষা কখন ট্রেন ছাড়বে। ট্রেন ছাড়ার আর কতো দেরি। অপেক্ষার তর সইছিলনা তাদের। মনে একদিকে উত্তেজনা, অন্যদিকে ভয় কাটিয়ে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার অপেক্ষা।

অবশেষে নির্ধারিত সকাল ১০টায় ট্রেনটি ছাড়ে। ট্রেন ছাড়ার পর সব জানালা-দরজা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিলো। ট্রেনটি ধীরগতিতে দুই মাইলের মতো পথ অতিক্রম করার পর শহরের গোলাহাটের কাছে এসে থেমে যায়। সবাই আশ্চর্য হয়ে ভাবছে কী হলো, ট্রেন থেমে গেল কেন? কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি! ভয় ও শঙ্কা দেখা দিলো তাদের চোখেমুখে। অন্যদিকে বিহারী ও রাজাকার ইজাহার আহমেদ, বিহারী নেতা কাইয়ুম খান ও বিপুলসংখ্যক বিহারী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী সৈন্য উপস্থিত তখন গোলাহাটে সেই ট্রেনটিরই অপেক্ষায়। ট্রেন থামতেই প্রতিটি বগির দরজা খুলে ভেতরে রামদা হাতে কয়েকজন বিহারি প্রবেশ করে, বাইরে তখন ভারী আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। যেন একজন মাড়োয়ারিও পালাতে না পারে। শুরু হয় রামদা দিয়ে কোপানো। মুহূর্তের মধ্যেই বীভৎস আর পৈশাচিক উৎসবে মেতে ওঠে বিহারী মুসলিমরা। কোনো কোনো লাশকে কয়েক টুকরো করে রেললাইনের চারপাশে ছুড়ে ফেলা হয়। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শিশুদের।

মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শহীদ হন ৪৩৭ জন নিরীহ হিন্দু । ওই নরসংহার থেকে আশ্চর্যজনকভাবে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান মাত্র ১০ জন যুবক। তারা ট্রেন থেকে নেমে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে দিনাজপুরে চলে যান। সেদিনের সেই নৃশংস বর্বরোচিত গনহত্যা থেকে ভাগ্যক্রমে পালিয়ে বেঁচে যাওয়া সেই দশ যুবকের মধ্যে একজন তপন কুমার দাস। সেদিনের সেই গণহ’ত্যার প্রত্যক্ষদর্শী তপন কুমার দাস দিয়েছিলেন গণহত্যার বর্ণনা।

তিনি বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানী সেনারা ১৩ই জুন আনুমানিক সকাল ৫টায় ভারতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ৪টি বগিতে আমাদের তোলে। ট্রেনে উঠার পরই পাকিস্তানী সেনাদের বুঝতে অসুবিধা হলো না এই দিন আমাদের শেষ দিন। সে সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো। ঠিক সকাল ১০টার দিকে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। চলছিল ধীরে ধীরে। শহর থেকে বেরিয়ে রেলওয়ে কারখানা পেরিয়েই হঠাৎ থেমে যায় ট্রেন। জায়গাটা স্টেশন থেকে দুই মাইল দূরে। নাম গোলাহাট। ট্রেন থামার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করি আমি। বাইরে সারি সারি পাকিস্তানি হানাদার সেনা। সঙ্গে তাদের দোসর বিহারী মুসলিমরা। সেনা সদস্যদের হাতে রাইফেল। আর বিহারীদের হাতে ধারালো রামদা। পাকিস্তানী সৈন্যরা যাত্রীদের কিল- ঘুষি- লাথি মেরে ট্রেন থেকে নামাতে থাকে। ট্রেনের যাত্রীদের ধারালো অ*স্ত্র দিয়ে আ*ঘাত করে হ’ত্যা করতে শুরু করে। যাত্রীদের অনেকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত সইতে না পেরে গু’লি করে মারার জন্য অনুরোধ করে। পাকিস্তানী সেনাদের জবাব বলেছিল একটি গুলির অনেক দাম। একে একে বগি থেকে নামিয়ে তলোয়ার দিয়ে কাটতে শুরু করে। ট্রেনের একপাশে যখন গণহত্যা চলছিলো সে সময় অন্য পাশ থেকে আমিসহ কয়েক জন যুবক দশ পনেরো ফুট নিচে লাফ দিয়ে পড়ি। তখন অনেক বৃষ্টি হচ্ছিলো। আমরা বৃষ্টির মধ্যে দৌড় দিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করি। পা*কিস্তানী সেনারা পিছন থেকে আমাদের গু’লি করতে থাকে, আমরা কয়েকজন পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করলেও ওই ট্রেনের প্রায় ৪১৩ জন যাত্রী শহীদ হন।’

সেদিনের সেই মৌলবাদী মুসলমানদের পৈশাচিক গণহত্যা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া আর এক প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন গোবিন্দ চন্দ্র দাস। তিনিও পালিয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘থেমে থাকা ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে ঢুকেই পাকিস্তানি সেনারা চিৎকার করে উর্দুতে বলতে থাকে, একজন একজন করে নেমে আসো। তোমাদের মারতে এসেছি আমরা। তবে পাকিস্তানের দামি গুলি খরচ করা হবে না। সকলকে এক কোপে বলি দেওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় বেপরোয়া গনহত্যা ।  ধারালো রামদা দিয়ে কেটে ফেলা গলা। ওই নরসংহার থেকে শিশু, বৃদ্ধ, নারীরাও রেহাই পাননি ।’ গতকাল ছিল ১৩ জুন, সেই নীলফামারীর কুখ্যাত গোলাহাট গণহত্যা দিবস। যাকে “অপারেশন খরচাখাতা” নাম দিয়েছিল বর্বর পাকিস্তানি সেনা ।।

Previous Post

মেটিয়াবুরুজের রবীন্দ্র নগর থানার আইসি মুকুল মিয়াঁকে সরিয়ে দেওয়া হল, বদলি করা হল মহেশতলার এসডিপিও কামারুজ্জামান মোল্লাকেও

Next Post

ইসরায়েলের হামলায় ৯ জন বরিষ্ঠ ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত

Next Post
ইসরায়েলের হামলায় ৯ জন বরিষ্ঠ ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত

ইসরায়েলের হামলায় ৯ জন বরিষ্ঠ ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত

No Result
View All Result

Recent Posts

  • দীপু দাসকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে “শ্রমিক হত্যা” বলে চালিয়ে দিতে চাইছে সিপিএম ; এদিকে বাংলাদেশি জিহাদি বলছে : “হত্যার ভিডিও দেখে আনন্দিত হয়েছি এবং রসুলের নিন্দার শাস্তি এমনই হওয়া উচিত” 
  • ডোনাল্ড ট্রাম্প-বিল ক্লিনটন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের লাম্পট্যের কাহিনী ফাঁস করে দিল ‘এপস্টাইন ফাইল’
  • হুমায়ুন কবিরকে টেক্কা দিতে চিরাগ পাসওয়ানের দলের প্রথম রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করা হল মুর্শিদাবাদের রফিক আলী শেখকে 
  • কিশোরী অবস্থায় জোর করে মামাতো ভাইকে নিকাহ করতে বাধ্য করা হয়েছে, বাড়িতে বারবার ধর্ষণ : ‘ডন’ হাজি মাস্তানের মেয়ে তার যন্ত্রণার বর্ণনা করে মোদী সরকারের কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন জানালেন  
  • বাংলাদেশে ফের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে 
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.