ওই চিবুক তুললেই দেখি হতাশা আর –
হাজার ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো।
ও চোখের তীব্র দৃষ্টি আমায় ক্ষত বিক্ষত করে –
অশনির সংকেতে, হাহাকারে
আকাশ বাতাস, বিষময় আলাপন ছড়ায় … অন্তর অঙ্গনে।
তবু মায়ার ছলনে ভুলি, তোমার ছাদে শুকাতে দেওয়া শাড়ি, আরশিতে লেপ্টে মধুর হাসি।
প্রতিটি রাতেই রক্তশূন্য হই তোমার অবৈধ সাফল্যে।
মিথ্যার ভাঁজ খুলে ঝাঁপিয়ে পড়ে
ছিন্ন ভিন্ন কর আমার কলজে।
শতনদীর প্রবাহমান ধারায় দাড়িয়ে-এ দেহ, মন ভিজছে, ক্রমেই ডুবছে…
আজ আমি নীরব দর্শক শুধু ব্যর্থতায়, অক্ষমতায়।
হয়তো বিষের বাঁশি বাজাব
হয়তো একদিন শেষবারের মতো সাজাবো-
হয়তো সেই দিনই শেষদিন প্রতিশোধে হাসবো !
কান্নার মাঝেও হেসেছি কত – ফাগুনের ঝড়া ফুল বুকেচেপে বুঝবে সেইদিন বুঝবে…।
দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আজ
দুপুরবেলার অনাহুত কাকের মতো, মাপছি ভালোবাসার ওজন।
আমি এক অভাবগ্রস্ত পর্যটক
বুকের মানচিত্রে এখন যক্ষা হাসে
তবুও জীবনের থলিটা টানছি এখনও –
ক্লান্তি, অবসন দিন যাপনে
ভঙ্গুর গোধূলিতে তুমি পাঠাও়নি স্পর্শ এখনও।
তোমার দুচোখের রোদচশমার আভিজাত্য,
টুরিস্ট স্পটে তোমার ক্ষমতার আধিক্য, আর্থিক দাম্ভিকতার প্রতিপত্তি কখনও আমায় সুপারিশ করেনি কোনখানে।
ল্যাং মারতে মারতে কখনও হেসেছ,কখনও মেকি অভিনয়ে চোখে দামী ভ্যাসলিন লাগিয়ে করেছো
তোমার উত্তুঙ্গ কার্নিশে ঝুলিয়েছো বিভার বিজ্ঞাপন।
আমার দুচোখের গঙ্গা-পদ্মার প্রবল স্রোতধারায় কখনও আমায় দেখেছো কি ?
এর পরেও আসতে পারে কি অধিকারের সমন –
কিংবা কতটা তোমাকে ভালোবাসি …বিচার প্রহসন ?