প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২০ অক্টোবর : শেষপর্যন্ত জয় পেলেন ভক্তরাই । আদালতের বিচারকের নির্দেশে নির্দিষ্ট একটি জামিতে পূজিত হওয়ার অধিকার পেলেন মা কালী । দেবী কালীর পুজো করা নিয়ে এমনই এক নজিরবিহীন মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার হয় বর্ধমানের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে । দুই পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারক পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দেবীপুর গ্রামের কালি ভক্তদের আবেদনের পক্ষেই রায় দেন। বিচারকের রায় জানার পর আদালত চত্ত্বরেই উচ্ছাসে ফেটে পড়েন দেবীপুরের কালী ভক্তরা ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে,একটি নির্দিষ্ট জমিতে কালী পুজো করা নিয়ে মামলাটি হয় দেবীপুরের মধূসূদন বিশ্বাস বনাম গ্রামবাসী দের মধ্যে । মামলাটি হয় মূলত একটি নির্দিষ্ট জমিতে পুরনো পুজো চালানো নিয়ে । গ্রামবাসী অনু আচার্য, মনীষা চক্রবর্তীদের দাবি ,তাঁরা যে কালি পুজোটি করা নিয়ে বর্ধমান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই পুজোটি ৭৫ বছর ধরে তাঁদের দেবীপুর গ্রামে হয়ে আসছে। এই পুজোয় বড় মেলা বসে। গ্রামের মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই পুজো।যা বন্ধ করার চক্রান্ত চালিয়ে ছিলেন গ্রামের মধুসূদন বিশ্বাস নামে এক জমির দালাল ।
গ্রামবাসীরা জানান,তাঁদের কালির দেবোত্তর জায়গাটি জমির দালাল মধুসূদন বিশ্বাস কোনো ভাবে হাতিয়ে নিয়ে বিক্রি করতে চায় । ওই জায়গাটিতে কালিপুজো যাতে না হয় তার জন্য মধুসূদন আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল । কিন্তু গ্রামবাসীরা ওই নির্দিষ্ট জায়গাতেই কালিপূজো করার পক্ষে অনড় থাকেন । আদালতেও তারা পুজোর ইতিহায় ও জমিটি সংক্রান্ত তথ্য পেশ করে ওই জমিতেই পুজো করার দাবির কথা তুলে ধরেন । বিচারক গ্রামবাসীদের বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে ওই জায়গায় কালি পূজো করার পক্ষেই রায় দেন । পাশাপাশি গ্রামবাসীরা যাতে ওই জায়গায় নির্বিঘ্নে পুজো করতে পারেন,আইন শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিৎ করার জন্য মেমারি থানা ও ভূমি দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন ।
মেমারি থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন,
আদালতের নির্দেশের কপি এখনও তারা হাতে পাননি । তবে আদালত যেমন নির্দেশ দেবে সেই মতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’ মধুসূদন বিশ্বাস এদিনের আদালতের রায় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে কিছু বলতে না চাইলেও তিনি নাকি উচ্চ আদালতে দরবার করবেন বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে ।।