এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৩ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশের একজন মুসলিম কলেজ শিক্ষিকার নিজের দেশেরই হিন্দুদের পূজো বন্ধের হুমকি দিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছে । পাপিয়া নাসরিন (Papeya Nasrin) নামে ওই জিহাদি শিক্ষিকা লিখেছে,’ভারতে গিয়ে যতো ইচ্ছা পূজা করুন, এটা মুসলমানের দেশ। বাড়াবাড়ি করলে নোয়াখালীতে ১৯৪৬ সালে যা হয়েছিলো, সেটাই হবে।’
ইংরাজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ব্লিটজের সম্পাদক সালহা উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ওই কলেজ শিক্ষিকার পোস্টের স্ক্রীন শর্ট এক্স-এ পোস্ট করেছেন । পাশাপাশি ফেসবুক প্রোফাইলের স্ক্রীন শর্টও দিয়েছেন তিনি৷ সেই অনুযায়ী পাপিয়া নাসরিন (Papeya Nasrin) নামে ওই মহিলার বাড়ি খুলনায় । বাংলাদেশের খুলনার সরকারি বি.এল. কলেজে পড়াশোনা করেছেন । এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন । বর্তমানে তিনি খুলনার দৌলতপুর কলেজ(দিবা/রাত্রির) সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন ।
সালহা উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী লিখেছেন,মুসলিম কলেজ শিক্ষক বাংলাদেশের হিন্দুদের ‘নোয়াখালী গণহত্যা’ পুনরাবৃত্তির হুমকি দিচ্ছেন! বাংলাদেশ স্পষ্টতই হিন্দুদের জন্য এক নরকীয় অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তান এবং তার আইএসআই-এর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য ইসলামপন্থী উপাদান রয়েছে, প্রকাশ্যেই নোংরা দানবীয় কর্মকাণ্ড দেখাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে যে বাংলাদেশের খুলনা জেলার দৌলতপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক পাপিয়া নাসরিন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হিন্দুদের হুমকি দিতে দ্বিধা করেননি যে হিন্দুরা যদি দেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করে তবে ১৯৪৬ সালের নোয়াখালী গণহত্যার মতো গণহত্যা এবং ধর্ষণ আবার ঘটবে। পাপিয়া এমনকি হিন্দুদের ভারতে বহিষ্কারের হুমকিও দিয়েছিলেন।’
তিনি আরও লিখেছেন,’যদিও এই ধরনের কাজ স্পষ্টতই একটি ফৌজদারি অপরাধ, ইসলামোফ্যাসিস্ট মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার অবৈধ সরকার এই মহিলার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলি এই ধরণের কুখ্যাতি কতদূর সহ্য করবে?’ পাশাপাশি তিনি অনেক আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে ট্যাগ করেছেন ।।