এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৬ নভেম্বর : ২০২১ সালের বিধানসভার ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর প্রায় ৪ বছর অতিক্রান্ত । ভোটকর্মীদের খাবার, পানীয় জল আর বিশ্রামের জন্য প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার ৩ ব্যবসায়ী । তিনি ব্যবসায়ী মিলে এখনো বকেয়া প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা । বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি । এদিকে অত পুঁজি ঢেলে যথাযথ পরিষেবা দিয়েও বকেয়া টাকা না পেয়ে ব্যবসা চালানো দায় হয়ে পড়েছে । আজ মঙ্গলবার কাটোয়া মহকুমা মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে পোষ্টার হাতে বসে তিন ব্যবসায়ী বৃন্দাবন ঘোষ,অলীভ দত্ত এবং অনুভব বন্দোপাধ্যায়রা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন,’সব পুঁজি ভোটের সময় ঢেলে দিয়েছি । এখন আমরা কার্যত সর্বসান্ত । তাই, হয় আমাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিন,নচেৎ আমার হাতে বিষ তুলে দিন সপরিবারে বিষপান করে আত্মহত্যা করি ।’ এদিকে ব্যবসায়ীদের ধর্নার সময় সেখানে প্রচুর লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে যায় । ব্যবসায়ীদের সমর্থনেই তাদের বার্তালাপ করতে শোনা যায় । এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় ।
জানা গেছে,বৃন্দাবন ঘোষ এবং অনুভব বন্দোপাধ্যায় প্যাণ্ডেল,লাইট,মাইক ইত্যাদির ব্যবসা রয়েছে । অলীভ দত্তর রয়েছে খাবারের দোকান । বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময় কাটোয়া কলেজ ও কাটোয়া কাশীরামদাস বিদ্যায়তনে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ, ডিসিআরসি এবং গননাকেন্দ্র হয়েছিল । বৃন্দাবন- অনুভবরা প্যাণ্ডেল,লাইট,মাইক সরবরাহ করেছিলে । অন্যদিকে অলীভবাবু পানীয়জল, টিফিন প্রভৃতি সরবরাহ করেছিলেন । এসব সরবরাহের জন্য জনৈক ঠিকাদারকে দায়িত্ব দিয়েছিল প্রশাসন ৷ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রশাসনের ওয়ার্ক ওর্ডার পেয়ে যথাযথ পরিষেবা দিয়েছিলেন তারা । কিন্তু সেই বকেয়া টাকা তারা আজও পাননি । তিন ব্যবসায়ী জানান, বৃন্দাবনবাবুর বকেয়া ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার, অনুভব বন্দোপাধ্যায় ১৯ লক্ষ এবং অলীভবাবুর বকেয়া রয়েছে এখনও ৩৬ লক্ষ টাকা ।
বৃন্দাবনবাবু,অলীভবাবুরা বলেন,’বকেয়া টাকার জন্য বারবার মহকুমাশাসকের কাছে আসছি৷ কিন্তু কোনো সদুত্তর পাচ্ছি না । এদিকে আমরা বহু আশায় স্থানীয় মহাজনদের কাছে সুদে টাকা নিয়েছিলাম । তাদের ঋণ মেটাতে পারছি না । প্রতিনিয়ত গালিগালাজ শুনতে হচ্ছে । মানসম্মান নিয়ে বসবাস করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে । তাই অপমানের হাত থেকে বাঁচতে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই ।’ যদিও বিষয়টি নিয়ে কাটোয়া মহকুমাশাসক অহিংসা জৈন কোনো মন্তব্য করেননি ।।