এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৪ আগস্ট : কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন দেশ জুড়ে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)শুরু করে দিয়েছে । আর এই এসআইআর করতে গিয়ে ৬৫ লক্ষ ভুতুড়ে ভোটারের নাম বাদ চলে গেছে বিহারে । যা মোট ভোটারের অন্তত ৮% । আর এতেই প্রমাদ গুনছে ইন্ডি জোট । পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে অন্তত ১ কোটি ২৫ লক্ষ ভুতুড়ে ভোটারের নাম বাদ যাবে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । যাদের সিংহভাগ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিম বলে তিনি দাবি করেন । এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জি রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন যে একটা নামও তারা ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিতে দেবেন না । যদিও শুভেন্দু অধিকারীসহ বিভিন্ন ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব ভুতুড়ে ভোটারের যে তথ্য তুলে ধরছেন তা বিচলিত করার মত ।
মঙ্গলকোট বিধানসভার ১০০% হিন্দু বসতির গ্রামের ২৭৬ নম্বর বুথের ভোটার তালিকায় দেখা গেছে ৫ জন মুসলমানের নাম । গ্রামটি মঙ্গলকোট বিধানসভার মধ্যে পড়লেও এটি কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সরগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত । মঙ্গলকোটে বিজেপির -১ মন্ডল সভাপতি দেবজীত দে প্রথমে ওই ৫ ভুতুড়ে ভোটারের তালিকা প্রকাশ্যে আনেন । তাতে দেখা গেছে ভোটার লিস্টের ১১ নম্বর সিরিয়ালে রয়েছে রাখি খাতুন, ৩৬ নম্বরে ডিউটি খাতুন, ৩৭ নম্বরে রসীনা খাতুন, ৫৩৭ নম্বরে সফিউদ্দিন শেখ এবং ৫৪৫ নম্বরে জনৈক আলেনুর বেগমের নাম রয়েছে । শুধু তাইই নয়, অবাক করার মত বিষয় হল যে ওই ৫ টি নামে ভোটারের বাড়ির যে নম্বর দেওয়া হয়েছে সেই বাড়িগুলিতে আদপে হিন্দু পরিবারের বসবাস । বিজেপির অভিযোগ, এটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র । অন্যদিকে তৃণমূলের কথায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিজেপি এই কাজ করেছে । কিন্তু নামগুলি যেহেতু মুসলিম সম্প্রদায়ের তাই তৃণমূলের এই দাবি কেউ বিশ্বাস করতে চাইছেন না ।
দেবজিৎ দে-এর অভিযোগ,’আমাদের অনুমান যে এগুলো রোহিঙ্গা ভোটার। ভোটে সরগ্রাম অঞ্চলে বিজেপি লিড করে । তৃণমূল কংগ্রেস জিততে পারে না। তাই জেতার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস রোহিঙ্গাদের নাম এভাবে ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছে । গ্রামে ওই ৫ জনের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া গেলে ভোটের সময় ঠিক হয়তো ভোট দিয়ে যায় ।’ অন্যদিকে বুঁইচি গ্রামে ২৭৬ নম্বর বুথের ৫ ভুতুড়ে ভোটারের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেছেন কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সুশান্ত পাঁজা । তার কথায়,’বিগত চার পাঁচ বছর ধরেই ওই পাঁচজনের নাম ভোটার তালিকায় দেখতে পাচ্ছি । কিন্তু বাস্তবে তাদের কোনো অস্বিত্বই নেই। নামগুলি বাদ দেওয়ার জন্য আমরা বিএলও দের মাধ্যমে অন্তত চারবার ফর্ম জমা দিয়েছিলাম । কিন্তু অজ্ঞাত কারণে দেওয়া হয়নি ।’ এরপর তিনি এক অদ্ভুত দাবি করে বসেন৷ তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ নির্বাচন কমিশন বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করে এই নামগুলো ঢুকিয়েছে। আমাদের বদনাম করার জন্য বাদ দেওয়া হচ্ছে না।’।