এইদিন ওয়েবডেস্ক,গাজিয়াবাদ,১৪ জুন : উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার এক মহিলা ইউটিউবারের পশুসুলভ মানসিকতা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে । শিখা মৈত্রেয় ওরফে কুনওয়ারি (Shikha Maitreya alias Kunwari Begum)বেগম নামে ওই মহিলা ইউটিউবার নবজাতক শিশুদের যৌন শোষণের পদ্ধতিগুলি অনলাইন ব্যাখ্যা করে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছেন । শুধু তাইই নয়, এই মহিলার ইউটিউব চ্যানেল দেখা গেছে আপত্তিকর কন্টেন্টের ভিডিওতে ভরপুর । বিষয়টি জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে নজরে পড়ার পরে, গাজিয়াবাদ পুলিশ ১২ জুন সন্ধ্যায় ইউটিউবার শিখা মৈত্রেয় ওরফে কুনওয়ারি বেগমের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে । তবে মামলা দায়েরের পর ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপত্তিকর বেশ কিছু ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এসিপি ক্রাইম রিতেশ ত্রিপাঠি বলেন,’অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলির ফরেনসিক তদন্ত করা হবে।’
গুরুগ্রামের ‘একম ন্যায় ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজ বলেছেন যে সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি যে কুনওয়ারী বেগম নামে এক মহিলা একটি গেমিং ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছেন । ওই মহিলা নাবালিকা এবং নবজাতক শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন কার্যকলাপকে উৎসাহিত করছেন। একটি ভিডিওতে শিখা মৈত্রেয় ওরফে কুনওয়ারি বেগম তার দর্শকদের বলছেন কীভাবে শিশুদের যৌন শোষণ করতে হয়।’
এই ইউটিউব চ্যানেলে আরেকটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে, যার শিরোনাম- See Will Say Not Late Her. এই ভিডিওতে নারীদের সম্মতি আদায় করতে পুরুষদের উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং নারী ও শিশুদের প্রতি যৌন আক্রমণাত্মক আচরণকেও উৎসাহিত করা হয় ।
অভিযোগকারী দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজের মতে, অভিযুক্ত কুনওয়ারি বেগম এই ভিডিওগুলিতে দর্শকরা আপত্তি করলে, তিনি বর্তমানে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল মুছে ফেলেছেন। কিছু ভিডিও মুছেও দেওয়া হয়েছে। দীপিকা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিখা উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা। তিনি এনআইএফটি-এর ২০২১-২২ সালের দিল্লি ব্যাচের একজন পাস আউট। বর্তমানে ব্লু জ্যাম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। ব্লু জ্যাম সংস্থা পরিচালিত হয় দিল্লির কালকাজি থেকে।
এই মহিলা আগে কোনও নাবালিকাকে এইভাবে যৌন শোষণ করেছেন কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য গাজিয়াবাদ পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজ । শুধু ওই মহিলাই নয়, তার বাবা-মা কেও তদন্তের আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি ।
দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজের অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জুন গাজিয়াবাদের কৌশাম্বি থানা এই বিষয়ে শিখা মৈত্রেয় ওরফে কুনওয়ারি বিরুদ্ধে আইটি আইনের ৬৭এ, ৬৭বি ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । ইন্দিরাপুরম এলাকার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) নিজেই এই মামলার তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে ।।