এইদিন ওয়েবডেস্ক,গাজিয়াবাদ,৩০ আগস্ট : উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে ভাঙাচোরা সামগ্রীর ব্যবসায়ী এক মুসলিম যুবক একা থাকার সূযোগে বাড়িতে ঢুকে ১৬ বছরের এক হিন্দু নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে । ঘটনার পর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । যার মধ্যে প্রধান আসামি ফাইজানকে (Faizan) গ্রেফতার করা হয়েছে । পরিবারের দাবি, মেয়েটিকে ৩-৪ জন মিলে গণধর্ষণ করেছে । বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে মানুষ । বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজিয়াবাদের ব্রিজবিহারের লিঙ্ক রোড থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় মানুষ। মানুষ অবিলম্বে বাকি ধর্ষকদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করেছে। বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তদের দোকানের বাইরে রাখা জিনিসপত্র ও যানবাহন ভাঙচুর করে । একটি ই-রিকশা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিড় এতটাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে যে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে । বিষয়টি দুটি সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত হওয়ায় উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । পুলিশ জানায়, পরিবারের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
সাহিবাদের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) রজনীশ কুমার উপাধ্যায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,’একজন আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন যে তার নাবালিকা মেয়েকে অন্য সম্প্রদায়ের একজন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী মারধর ও ধর্ষণ করেছে।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে, প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে । নির্যাততাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। দল গঠন করা হয়েছে। এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’ বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার দীনেশ কুমার পি গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নির্যাতিতার কাকিমা জানান, বুধবার (২৮ আগস্ট ২০২৪) সন্ধ্যায় বাড়ির সকল পুরুষ ও মহিলা সদস্যরা কাজে গিয়েছিল। এসময় স্ক্র্যাপ ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত তিন-চারজন ছেলে পেছনের গেট লাফিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। তার মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। এ সময় মেয়েটির নাকে কিছু চেপে ধরে অজ্ঞান করে তাকে গণধর্ষণ করা হয়।
এদিকে থানার বাইরে এবং অন্যান্য জায়গায় বিক্ষোভের বিষয়ে দীনেশ কুমার বলেন, মানুষ অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি করছে। কিন্তু কারও নাম নেওয়া হচ্ছে না, প্রমাণও দেওয়া হচ্ছে না। তিনি জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সে যা বলেছে তা এফআইআর-এ রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু প্রমাণ পাওয়া গেলে অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা যাবে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি ‘অজ্ঞাত উপদ্রপকারীদের’ বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ।।