এইদিন ওয়েবডেস্ক,বার্লিন ও ওয়াশিংটন,২৭ অক্টোবর : আমেরিকার পর এবার ইরানি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে জার্মানি । জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা বারবক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেশটিতে ইরানি কর্মকর্তাদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার পরিকল্পনা করছে বার্লিন । তিনি আরও জানান,ইরানে এমন একটি সরকার রয়েছে যারা নিজেদের নাগরিকদের সাথে এমন “অপমানজনক” আচরণ করে এবং মানবাধিকারকে সম্মান করে না তাদের সাথে স্বাভাবিকভাবে ব্যবসাবানিজ্য চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় ।’ এছাড়া ইরানি কর্মকর্তাদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে তিনি জানান । তিনি আরো জোর দিয়ে বলেছেন যে এই নীতি ইইউ নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের বাইরে রয়েছে ।
উল্লেখ্য,জার্মানি ইউরোপে ইরানের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার এবং ইরানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট রপ্তানির প্রায় এক তৃতীয়াংশ । ফলে জার্মানির এই পদক্ষেপে ইরান যথেষ্ট বিপাকে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে ।
অন্যদিকে জার্মানির এই ঘোষণার পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “বিক্ষোভকারীদের দমন” করার নামে নাগরিকদের অত্যাচারের অভিযোগে তার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বেশ কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তাকে যুক্ত করেছে।আন্তর্জাতিক মিডিয়া জানিয়েছে,সেই তালিকায় নাম রয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশনের প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি এবং ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তানের গভর্নর হোসেন মোদারেস খায়াবানির মতো ব্যক্তিদের । এছাড়া এভিন কারাগারের প্রধান হেদায়েত ফারজাদি, তেহরান প্রদেশের কারাগারের মহাপরিচালক হেশমাতুল্লা হায়াত আল-গাইব,আইআরজিসি অপারেশন ডেপুটি আব্বাস নীলফোরোশান, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের দুই সিনিয়র কর্মকর্তা, ইসফাহান পুলিশ বাহিনীর কমান্ডার এবং ইরানের সাত কর্মকর্তার নামও রয়েছে নতুন তালিকায় । ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রেজারি এক বিবৃতিতে বলেছে যে আইআরজিসি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এই গ্রীষ্মে তার পদ গ্রহণের পর থেকে ইরানের নাগরিক সমাজের উপর রীতিমতো অত্যাচার শুরু করে দিয়েছে ।
অন্যদিকে ইরানের বিদেশ মন্ত্রণালয়ও তার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইউরোপে অবস্থিত দুটি ফার্সি ভাষার মিডিয়া সহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করেছে ।।