এইদিন ওয়েবডেস্ক,২০ অক্টোবর : ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে নির্বিচারে মানুষ খুন, অপহরণ করলে পালটা প্রত্যাঘাত শুরু হয়েছে ইসরায়েলের তরফে । হামাসের সন্ত্রাসী নৃশংস কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশ্বের মুসলিমরা চুপ থাকলেও, ইসরায়েলের পালটা সন্ত্রাসী খতম অভিযান শুরু হতেই পথে নেমে পড়েছে কট্টরপন্থী মুসলিমদের দল । ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে শুরু করে ভারতে পর্যন্ত তার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে । কিন্তু ভারতে ইসলামি কট্টরপন্থীরা রেহাই পেয়ে গেলেও জার্মানি ও ফ্রান্সের মত দেশগুলি কড়া অবস্থান নিচ্ছে । বিগত কয়েক দিনে ওই দুই দেশ অন্তত ২০০ জন কট্টরপন্থীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স । প্রতিবেদন অনুযায়ী, জার্মানিতে কমপক্ষে ১৯২ জন এবং ফ্রান্সে ৪৩ জন কট্টর ইসলামি যুবককে শান্তিভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
জার্মানি এবং ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনিকে সমর্থনকারীদের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। এই দুটি ইউরোপীয় দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিম এবং ইহুদি জনসংখ্যা রয়েছে । এই দুই দেশের কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ইহুদি-বিদ্বেষ রোধ করা।
এদিকে, ফিলিস্তিনি সমর্থকরা বলেছেন, জার্মান ও ফরাসি সরকার ফিলিস্তিনের প্রতি জনসমর্থন এবং গাজার জনগণের প্রতি সহানুভূতি নিষিদ্ধ করেছে ।
তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত কয়েক দিনে প্যারিসে সাতটি বিক্ষোভে বাধা দিয়েছে।ফিলিস্তিনি সমর্থক ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি, এই দেশটি কমপক্ষে ৮২৭ জনকে জরিমানা করেছে।
জার্মান সরকার ফিলিস্তিনের সমর্থনে অন্তত সাতটি বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল । আজ নিয়ে ১৪ দিন ধরে হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করছে ইসরায়েল । এদিকে কট্টর ইসলামি দেশ ইরান সমর্থিত লেবাননের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল্লাহও হামাসের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে । ইউরোপের অনেক বড় শহরে ফিলিস্তিনিকে সমর্থনের নামে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের পক্ষে মিছিল শুরু করে দিয়েছে কট্টরপন্থী মুসলিম জনগন । গাজার একটি হাসপাতালে হামলায় ৫০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর এই মিছিলের পরিধি বিস্তৃত হয়েছে । যদিও ওই রকেটটি হামাসেরই নিক্ষেপ করা বলে দাবি করেছে ইসরায়েল ও আমেরিকা । কিন্তু ইরান,জর্ডন,মিশরের মত ইসলামি দেশগুলি গাজার হাসপাতালে হামলার দায় ইসরায়েলের উপর চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।।