এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৮ অক্টোবর : বাংলাদেশের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে গনধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ । ধৃতরা হল হাসান (৪২) ও হারুন (৩০)। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে চরএলাহী ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রাম থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়।
এর আগে গত সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় সমাজের বিশিষ্ট লোকজনের কাছে বিচার চেয়ে বিচার পাননি ভুক্তভোগীরা। পরে বাধ্য হয়ে শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন।
নির্যাতিতা নারী (৩৮) জানান, তার স্বামী কাভার্ডভ্যান চালক। বাড়িতে তিনি তার মেয়ে (১৭) ও এক দেবরসহ (২১) থাকেন। তাদের বাড়ির কাছাকাছি তেমন কারও বাড়িঘরও নেই। গত রবিবার রাত ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের বাড়িতে আসে। তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তার দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে রেখে তার মেয়ে ও তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে নিয়ে যায় বাড়ির পুকুর পাড়ে। আর অপর তিনজন মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পুকুর পাড়ে ও মেয়েকে রান্নাঘরের সামনে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় ঘর থেকে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
ঘটনার পরের দিন সকালে বিষয়টি স্থানীয় নেতাদের জানান এবং তাদের কাছে ঘটনার বিচার চান নির্যাতিতা নারী ও তার মেয়ে। কিন্তু নেতারা বিচারের নামে টালবাহানা করতে থাকে । পরে বাধ্য হয়ে ওই নারী শনিবার বিকেলে স্থানীয় চরবালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। চরবালুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহম্মদ শাহাদাত বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাসান ও হারুনকে আটক করা হয়েছে।’ কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান বলেন, ‘এই ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে ভুক্তভোগী অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন। ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’।