এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০৫ অক্টোবর : বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) প্রাক্তন এমএলসি তথা খনি ব্যবসায়ী হাজি ইকবালের চার ছেলে এবং ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাহারানপুরের মির্জাপুর থানায় এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাগপতের বাসিন্দা ওই মহিলা হাজি ইকবালের চার ছেলে – ওয়াজিদ, জাভেদ, আলিশান এবং আফজালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। চার ছেলে ও ভাই মাহমুদ গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। একই সঙ্গে হাজী ইকবালকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযোগকারী মহিলা হাজি ইকবালের গ্লোকাল ইউনিভার্সিটিতে চাকরি করতেন। মহিলা অভিযোগ করেছেন যে ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার সময় পাঁচজন অভিযুক্ত তাকে গণধর্ষণ করেছিল। ঘটনার পর তাকে বাইরের কাউকে কিছু না বলারও হুমকি দেওয়া হয়।
সাহারানপুর দেহাত পুলিশ সুপার (এসপি) সাগর জৈন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে গত ২ অক্টোবর মির্জাপুর থানায় পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এসপি বলেন, ‘মহিলা অভিযোগ করেছেন যে অভিযুক্তরা তাকে বেশ কয়েকবার গণধর্ষণ করেছে। এর পরেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’মামলাটি বেহাত পুলিশ তদন্ত করেছে বলে তিনি জানান । নির্যাতিতা আদালতে তার জবানবন্দিও রেকর্ড করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দু’বছর আগেও সাহারানপুর পুলিশ হাজি ইকবাল ও তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা করেছিল। তারপরে ৩৭ বছর বয়সী এক মহিলা তাদের সকলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এবং তার জমি খালি করার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । ওই মামলায় হাজী ইকবালের ভাই মাহমুদের নামও ছিল। হাজি ইকবাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার অ্যাক্টের ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ইডি এবং সাহারানপুর পুলিশ ইতিমধ্যেই হাজি ইকবালের কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ২০২২ সালে, পুলিশ ইকবাল এবং তার সহযোগীদের ১৩৮ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল।
হাজী ইকবালের বিরুদ্ধে অতীতে ভয় দেখানো, অবৈধ খনির জমি দখলের মতো অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। হাজী ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন । ইউপি সরকার ছাড়াও ইডি হাজি ইকবাল ও তার সহযোগীদের হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করেছে।।