এইদিন বিনোদন ডেস্ক,১৩ অক্টোবর : ভারতের ইতিহাসে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে নিয়ে বিতর্ক আজকের নয় । তার ইসলাম প্রীতি,হিন্দু হয়েও হিন্দুদের সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণ এবং সর্বোপরি ভারত ভাগে তার ভূমিকাকে বারবার সন্দেহের চোখে দেখা হয় । গুজরাটের গান্ধীনগরের নিজের সবরমতী আশ্রমে গান্ধীর ব্রহ্মচর্য পালনের নামে ‘বিকৃত যৌনতা’ নিয়ে আজও মানুষ সমালোচনায় মুখর হয় । যেকারণে গান্ধীকে “রাষ্ট্রপিতা” ও “মহাত্মা” উপাধি দেওয়ার বিরোধিতা হচ্ছে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী সম্পর্কে বছর খানেক আগে খোলামেলা মত প্রকাশ করেছিলেন বলিউড গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য । পডকাস্টে এবিষয়ে তার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে নতুন করে । অভিজিৎ বলেছিলেন,’মহাত্মা গান্ধীর থেকে তো বড় ছিলেন পঞ্চমদা (সঙ্গীত পরিচালক আরডি বর্মন) ছিলেন। উনি মিউজিকের রাষ্ট্রপিতা ছিলেন।মহাত্মা গান্ধী রাষ্ট্রপিতা পাকিস্তানের ছিলেন, ভারতের নয়।’ তিনি যুক্তি দেন,’ভারত তো ভারত ছিলোই । পাকিস্তান বানানো হয়েছে, তাই না ? ভুল করে মহাত্মা গান্ধীকে এখানকার রাষ্ট্রপিতা বানানো হয়েছে । উনিই (গান্ধী) তো জন্মদাতা(পাকিস্তানের) ছিলেন । ওই তো বাবা (পাকিস্তানের) ছিল, দাদা ছিল দাদু ছিল, ঠাকুমা ওই ছিল… সবকিছু ওই ছিল। তাই এটা (ভারতের রাষ্ট্রপিতা) হতে পারে না ।’
প্রশ্ন কর্তা বলেন,’জি-২০ সম্মেলনে ২০ দেশের রাষ্ট্রনেতা একসাথে গান্ধীর সামনে কেন মাথা ঝুঁকিয়ে ছিল? গান্ধী ছাড়া আর কেউ এমন ব্যক্তিত্ব দেশে আছে ?’ উত্তরে অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন,’এই প্রশ্ন আপনি ১০ বছর পর অথবা ২৫ বছর পর করবেন না । বহু কিছু হবে,আপনি শুধু দেখে যান ।’
মেঘা আপডেটে শেয়ার করা অভিজিৎ ভট্টাচার্যের ওই ভিডিওতে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘বিখ্যাত ভারতীয় গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক অভিজিৎ ভট্টাচার্য: “মহাত্মা গান্ধী ভারতের জনক ছিলেন না, পাকিস্তানের জনক ছিলেন। ভারত ইতিমধ্যেই ভারত ছিল, পাকিস্তান তৈরি হয়েছিল, মহাত্মা গান্ধীকে ভুল করে ভারতের জনক ঘোষণা করা হয়েছিল।” আপনি কি অভিজিতের সাথে একমত?’
প্রতিক্রিয়ায় অভিজিৎ ভট্টাচার্যের সমর্থন করেছেন অনেকে । একজন লিখেছেন,’খুব বেশি সমর্থন করি । কেউ কীভাবে জাতির পিতা হতে পারে, যখন আদিকাল থেকেই জাতির অস্তিত্ব রয়েছে৷ তিনি কেবল তখনই পিতা হতে পারেন, যদি জাতিটি নতুন হয়৷ আজ আমরা আমাদের অস্তিত্ব হারাচ্ছি কারণ তিনি “গণতান্ত্রিকভাবে ভোট” দিয়ে পাকিস্তান পাওয়ার পরেও মুসলমানদের থাকতে দিয়েছিলেন?’ ইন্দো জেন ভারত লিখেছেন,’গান্ধী ছিলেন উপনিবেশবাদী হান্টারের দ্বারা রোপিত একজন ক্রিপ্টো বিশ্বাসঘাতক৷’
সর্দার প্যাটেল বনাম গান্ধী শীর্ষক একটা ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে কর্মযোগী নামে একজন লিখেছেন,’এটা কখনোই ভুল ছিল না, সবকিছু পরিকল্পনা করেই করা হয়, সেটা ভারতের উপর নেহেরুর চাপিয়ে দেওয়া হোক অথবা অনুগ্রহের প্রতিদান হোক ।’
প্রসঙ্গত,প্রবল হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচিত অভিজিৎ ভট্টাচার্যের আরও একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে । যেখানে তিনি হিন্দু ধর্মকে “ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া বলা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধি স্টালিনের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, “ওর জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা একবার শুধু সরিয়ে দেওয়া হোক । তোমার এত ফলোয়ার্স,কত লোক তোমার পাশে ঘুরে বেড়ায়,সবাই তোমায় ভোট দেয়, আর তুমি মেশিনগান হাতে নিরাপত্তারক্ষীদের পাশে নিয়ে বলছ যে সনাতনকে খতম করে দেবে ।’ তিনি রাহুল গান্ধীর নাম না করে বলেন,’কেউ হিন্দুদের গালাগালি দিচ্ছে । হিন্দু মানে “হিংসা-হিংসা-হিংসা” । কেন বলুন ? তারা জন্মগত সুরক্ষিত । শুধু একবার জেড প্লাস ক্যাটাগরি নিরাপত্তা সরিয়ে দিন,কিচ্ছু বলব না৷’ তিনি বলেন,’দেখুন,একজন মুসলিম সনাতনকে গালাগালি দিচ্ছে না । এরা হল সেই হিন্দু যাদের মুসলিম ভোট চাই ৷’।
“

