এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০১ অক্টোবর : বাংলাদেশে এবার থেকে কোনো মুসলিম পুরুষ কোনো হিন্দু নারীকে বিয়ে করতে পারবে না- সম্প্রতি সেদেশের হাইকোর্টের তিন বিচারপতির একটি বিশেষ বেঞ্চ একটি রায়ে এমনই মন্তব্য করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল-২৪ এবং দৈনিক জনকণ্ঠ । তবে বাংলাদেশের হিন্দুরা এই রায়ের পরেও সিঁদূরে মেঘ দেখছেন । তাদের সন্দেহ যে এই নতুন আইনে দেশে ধর্মান্তরিত করার চক্র এবার আরও বেপরোয়া হয়ে তাদের কর্মকাণ্ড চালাবে ।
চ্যানেল-২৪ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,যে দম্পতিকে কেন্দ্র করে এই রায় দেওয়া হয়েছে, তারা নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন না করেই বিয়ে করেছিলেন। ধর্ম বহাল রেখে এ ধরনের বিয়ে ইসলামী শরীয়ত ও দেশের প্রচলিত আইন—দুটির সঙ্গেই সাংঘর্ষিক, তাই এই বিয়ে অবৈধ। ফলে ওই মামলার বিচ্ছেদ বা তালাক সংক্রান্ত ডিক্রিটিও আদালত বাতিল করে দেয় বিচারপতিদের বেঞ্চ ।
উল্লেখ্য,বিশেষ ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৮৭২ অনুযায়ী হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা চাইলে অন্য ধর্মের কাউকে বিয়ে করতে পারেন। তবে এই আইন মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আদালত স্পষ্ট করেছেন, মুসলিম নারী ও পুরুষ এ আইনের আওতার বাইরে থাকায় তাদের এ ধরনের বিবাহকে বৈধ ধরা যাবে না।এমন নজির শুধু বাংলাদেশেই নয়,গত বছর ভারতের মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টও একই রকম রায় দেন। সেখানেও এক হিন্দু নারী ও মুসলিম যুবক বৈবাহিক সম্পর্কের স্বীকৃতি চাইলে আদালত জানায়, ধর্ম পরিবর্তন ছাড়া এ ধরনের বিয়ে বৈধ নয়। আদালতের মতে, ধর্ম পরিবর্তন না করে সংসার জীবন শুরু করলে তা মানসিক টানাপোড়েন ও বিচ্ছেদের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বলা হয়েছে,ভিন্ন ধর্ম ও জাতের মানুষকে বিবাহের সুযোগ দিতে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশরা প্রথম বিশেষ বিবাহ আইন প্রণয়ন করে। পরে ১৯৫৪ সালে এ আইনে কিছু সংশোধন আনা হয়। তবে মুসলিমদের ক্ষেত্রেই শুরু থেকে এই আইনের প্রয়োগ নেই।।