এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৭ অক্টোবর : তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনার মধ্যেই ফের সংঘাতে জড়াল পাকিস্তান সেনা ও তালিবান যোদ্ধারা । পাকিস্তান- আফগানিস্তান সীমান্তে দুই পৃথক সংঘর্ষে ২৫ জন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) যোদ্ধা ও ৫ পাকিস্তানি সেনার প্রাণহানি হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার উত্তর-পশ্চিমের কুররাম এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় টিটিপি-এর ২টি বড় দল আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালালে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহত টিটিপি যোদ্ধার মধ্যে ৪ জন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীও ছিলেন ।
পাকিস্তান সেনা দাবি করেছে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত । তবে এই সংঘাতের বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি তালেবান সরকার।
গত ১৯ অক্টোবর কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। সংঘাতের পুনরাবৃত্তি এড়াতে দুদেশের কর্মকর্তারা বর্তমানে ইস্তাম্বুলে রয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো দেশটির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, ইস্তাম্বুলে তালেবানের সাথে আলোচনা এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি এবং দলটি আফগান মাটি থেকে টিটিপির আক্রমণ প্রতিরোধে আগ্রহী নয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার,ডন পত্রিকা জানিয়েছে যে, তালেবানরা এই আলোচনায় আগ্রহী নয়।
টানা দুই দিনের আলোচনার পর, পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল ঘোষণা করেছে যে তারা তালেবানদের কাছে তাদের চূড়ান্ত অবস্থান তুলে ধরেছে।পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল জোর দিয়ে বলেছে যে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় তালেবানদের অবশ্যই দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, আফগানিস্তান থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে বলে পাকিস্তানের দাবির প্রতি তালেবানের প্রতিক্রিয়াকে “অযৌক্তিক এবং অঞ্চলের বাস্তবতার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ” বলা হয়েছে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেছেন যে তালেবান আলোচনাকারী দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই এবং তারা কান্দাহার এবং কাবুল থেকে নির্দেশনা পায়।
ইস্তাম্বুলে তালেবান এবং পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকায় আফগান সীমান্তে টিটিপির সাথে সংঘর্ষে পাঁচজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ সতর্ক করে বলেছেন যে আলোচনা ব্যর্থ হলে ইসলামাবাদ তালেবানদের সাথে যুদ্ধের পথ বেছে নেবে।।

