প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৯ জুন : ভোট মিটে যাওয়ার পরেও পূর্ব বর্ধমানে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বিরাম পড়ছে না । ফের গলসির উচ্চগ্রাম এলাকার একটি ইটভাটার পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে গলসি থানার পুলিশ ওই ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রাস্টিকের জারিকেনে ভরে রাখা ৯ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে ।বুধবার বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিস্কৃয় করে । ইটভাটার পরিত্যক্ত ঘরে কারা, কি উদ্দেশ্যে বোমা মজুত করেছিল তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে । তারই মধ্যে বোমা উদ্ধার নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে শাসক ও বিরোধীদের চাপানউতোর ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,উচ্চগ্রামের মাঠের ধারে ইট ভাটার মাটির ঢিবির পাশে শ্রমিকদের থাকায় ঘর রয়েছে । বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা ইটভাটা ছেড়েছেন। তাই ইটভাটার বেশিরভাগ ঘরের দরজা ইট দিয়ে ভিজিয়ে রাখা ছিল ।সেই রকমই একটি ঘরের ভিতর প্লাস্টিকের জারিকেনে ভরে কেউ বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল বলে অভিযোগ ।গোপন সূত্রে সেই খবর মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে পৌছালে পুলিশ রাতেই ইটভাটায় অভিযান চালায় । স্থানীয়রা বলেন, গত শনিবার উচ্চগ্রামে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে । তাতে দু’পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পুলিশ মারপিটের ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে । সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে মঙ্গলবার রাতে
এলাকার ইটভাটা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বাসিন্দা মহলে যথেষ্টই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বোমা উদ্ধার নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব । জেলা বিজেপির সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন, “কয়েকদিন আগে গলসির যে এলাকায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনা সেই এলাকা থেকেই বেমা উদ্ধার হয়েছে ।বোমা কারা মজুত করে রেখেছিল তা গলসির মানুষ ভালোই বুঝতে পারছেন।তৃণমূলের দুস্কৃতিরাই গলসিতে বোমা গুলি নিয়ে দৌরাত্ম দেখায় বলে রমন শর্মা অভিযোগ করেছেন ।
যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলার মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগে বিজেপির জুড়ি নেই ।ভোটের আগে প্রার্থী নিয়ে গলসিতে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছিল । পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে । বোমা কারা মজুত করেছিল তা পুলিশি তদন্তেই পরিস্কার হয়ে যাবে ।’।