এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,১০ সেপ্টেম্বর : বলিউড ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রির প্রখ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে (Kangana Ranaut) কে না জানেন । প্রতিভাবান এই অভিনেত্রীর অভিনয় ছাড়াও সোজা কথা সহজভাবে বলার জন্য প্রায়ই তিনি খবরের শিরোনামে থাকেন । ফিল্মি জগৎ হোক বা জাতীয় রাজনীতি,রাখঢাক না করে নিজের মতামত অকপটে বলে দেন কঙ্গনা । আর তাঁর এই অকপট কথনের জন্য তিনি বহু মানুষের কাছে প্রিয়পাত্র । অবশ্য তাঁর সমালোচকের সংখ্যাও নিত্যান্ত কম নয় । ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে সহজ সরল স্বীকারোক্তির কারনে ফের একবার খবরের শিরোনামে কঙ্গনা । তাঁর কথায়,’অনশন এবং ডান্ডি মার্চের কারণে আমাদের দেশের স্বাধীনতা আসেনি । আমি গান্ধীবাদী নই, নেতাজীবাদী ।’
কেন্দ্র সরকার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ‘রাজপথ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘কর্তব্য পথ’ করেছে । নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি ২৮ ফুট লম্বা ব্রোঞ্জের মূর্তিও ইন্ডিয়া গেটের কাছে স্থাপন করা হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কার্তব্য পথের উন্মোচন ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন । ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কঙ্গনা রানাউত ।
ওই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কঙ্গনা বলেন,’প্রত্যেকেরই চিন্তাভাবনা পৃথক হয় । আমি মনে করি নেতাজী,সাভারকরজী সহ বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আড়ালে রাখা হয়েছে । এতদিন ধরে শুধু একটা পক্ষকেই দেখানো হয়েছে । বলা হয়েছিল এক গালে চড় মারলে আর এক গাল পেতে দেবো । এতদিন শুনে এসেছি অনশন করে বা ডান্ডি মার্চ করেই নাকি আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি । বাস্তব কিন্তু এটা নয় ।’
তিনি বলেন,’বহু মানুষ রক্ত দিয়েছেন । নেতাজী স্বাধীনতার জন্য গোটা বিশ্বজুড়ে ক্যাম্পেন করেছিলেন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন । একটি সেনাবাহিনী তৈরি করে স্বাধীনতার জন্য লড়েছিলেন । আর এর ফলেই ইংরেজদের উপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়েছিল । তারপরেও তিনি কাকে ক্ষমতা দিয়েছিলেন সেটা তাঁর ব্যাপার । তবে নেতাজীর ক্ষমতার লোভ ছিল না । নেতাজীর লক্ষ্য ছিল শুধু স্বাধীনতা অর্জন ।’
তিনি বলেন,’আমি নেতাজীর বিষয়ে এতদিন তো খোলাখুলি বলে এসেছি । আমি তো বলেছি যে আমি গান্ধীবাদি নই । আমি তো সর্বদাই বলে আসছি আমি নেতাবাদী । এই কারনে আমায় সমস্যাতেও পড়তে হয়েছে । কয়েকটা সমনও এসেছিল । জেলে যাওয়ার মতও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল । আমার বাড়িতে পুলিশও গিয়েছিল । ‘ কঙ্গনা বলেন, ‘সকলেরই স্বকীয়তা থাকে । আমারও আছে । “তুমি রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো”- আমি এই মতে বিশ্বাসী ।’
প্রসঙ্গত,ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে প্রায়ই খোলাখুলি মত প্রকাশ করতে দেখা যায় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে । গত বছর তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ‘প্রকৃত স্বাধীনতা ২০১৪ সালে অর্জিত হয়েছিল, যখন নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেছিলেন । ১৯৪৭ সালে দেশ যে স্বাধীনতা পেয়েছিল তা ভিক্ষা করে অর্জিত হয়েছিল ।’ আর কঙ্গনার এই বক্তব্যের পর তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল ।।