প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ ডিসেম্বর : জমিতে টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল প্রতারক । ধৃতের নাম মহম্মদ রফিকুল ইসলাম ।তাঁর বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার জগন্নাথপুরে। বর্ধমানের সাইবার থানার পুলিশ বুধবার রাতে মালদহের পুখড়িয়ার একটি ইটভাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করে । পুলিশের দাবি জেরায় ধৃত টাকা হতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে । প্রতারণায় রফিকুলের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে । বৃহস্পতিবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে । হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য এবং বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিার ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় । সিজেএম ধৃতের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী বর্ধমান শহরের পিসি মিত্র লেনের বাসিন্দা অরূপ কুমার চৌধুরী। ২০১০ সালে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে তাঁকে তাঁর জমিতে বেসরকারি সংস্থার মোবাইল টাওয়ার বসানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। টাওয়ার বসাতে দিলে তাঁকে মোটা টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়াও আরও কিছু লোভনীয় প্রস্তাবও তাঁকে দেওয়া হয় ।সেই প্রস্তাবে রাজি হন অরুপবাবু। তাঁকে জমির নথিপত্র পাঠাতে বলা হয়। সেইমতো তিনি জমির নথিপত্র ও তাঁর ভোটার, আধার ও প্যান কার্ড পাঠান। তাঁর জমি পছন্দ হয়েছে বলে জানানো হয়। গ্রামীণ এলাকার জন্য নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী তাঁর জমিতে টাওয়ার বসানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় । এরপর তাঁকে জমির রেজিস্ট্রেশন, ভেরিফিকেশন ও চুক্তির জন্য দফায় দফায় টাকা পাঠাতে বলা হয়। সেই টাকা পরে ফেরত দেওয়া হবে বলে তাঁকে জানানো হয়। প্রতারকদের টোপ গিলে অরুপবাবু কয়েক দফায় বিভিন্ন ব্যক্তির নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১২ লক্ষ ১ হাজার ১০০ টাকা পাঠান। তারপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তাঁর জমিতে টাওয়ার বসেনি। টাকাও তিনি ফেরত পাননি।প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়েছেন বুঝতে পেরে এ বছরের ২২ জুন তিনি প্রতারণার কথা জানিয়ে বর্ধমান সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তদন্তে নেমে বর্ধমান সাইবার থানার পুলিশ প্রতারণায় রফিকুলের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয় বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে ।।