দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১২ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বাসিন্দা মঙ্গলকোটের কাসেমনগরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজার শ্যামাশিষ হাজরাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার ঘটনায় গ্রেফতার হল আরও এক দুষ্কৃতী । সোমবার বিকেলে ভাতার থানার এরুয়ার গ্রাম থেকে জেরু শেখ নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে । এরুয়ার গ্রামেই তার বাড়ি । আজ মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ । গত ২৬ জুলাইয়ের ওই ঘটনার পর এযাবৎ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হল । বাকি তিন ধৃত দুষ্কৃতী হল মঙ্গলকোটের কল্যানপুরের বাসিন্দা শেখ হীরা, মাহার্তুবা গ্রামের আজিবুল শেখকে এবং এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা কচি মল্লিক ।
ঘটনার দিন একটি ভাড়া গাড়ি করে ভাতার থেকে ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন শ্যামাশিষ হাজরা । তার সঙ্গে ছিলেন মঙ্গলকোটের অন্য একটি ব্যাঙ্কের আরও এক কর্মী । গাড়িটি চালাচ্ছিল ধৃত শেখ হীরা । বাদশাহী রোড ধরে মঙ্গলকোটের মুখে যাওয়ার সময় ভাতার থানার মুরাতিপুরের কাছে গাড়িটিকে আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী । তারপর তারা শ্যামাশিষবাবুকে ভয় দেখিয়ে গাড়িটি নিয়ে এরুয়ার গ্রামের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় তারা । সেখানে যাওয়ার পর শ্যামাশিষবাবুর সঙ্গীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাকে প্রায় ঘন্টা চারেক সেখানে আটকে রাখা হয় । এমনকি শ্যামাশিষবাবুকে মারধর পর্যন্ত করা হয় । পরে কাসেমনগরে শ্যামাশিষবাবু যে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, সেখান গিয়ে দুই দুষ্কৃতী চার লক্ষ টাকা নিয়ে এলে তবেই তাকে ছাড়া হয় ।
ঘটনার পর এনিয়ে ভাতার থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামাশিষ হাজরা । তদন্তে নেমে পুলিশের প্রথমে সন্দেহ গিয়ে পড়ে গাড়ির চালক শেখ হীরার উপর । পুলিশ তাকে আটক করে জেরা করতেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসে । শেখ হীরাকে জেরা করে আজিবুল শেখের নাম জানতে পারে পুলিশ । তাকে পাকড়াও করতেই উদ্ধার হয় মুক্তিপণের ৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা । পরে ধৃত দুই ব্যক্তির কাছ থেকে কচি মল্লিক ও জেরু শেখের নাম জানতে পেরে পর্যায়ক্রমে তাদের গ্রেফতার করা হয় । এই চক্রে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ।।