প্রদীপ চট্টোপাধ্যায,বর্ধমান,২৪ জুন : পৃথক অপরাধের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন চার বিজেপি কর্মী । ঘটনাগুলি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার সমসপুর ও মেমারি থানার নিশিরাগড় এলাকায় । ধৃতরা হলেন রায়নার সমসপুরের সুশান্ত মালিক ও প্রশান্ত মালিক এবং মেমারির নিশিরাগড়ের রঞ্জিত বাগ ওরফে অনজিৎ এবং সুমান্ত নন্দী । চার ধৃতকেই পুলিশ বৃহস্পতিবার পেশ করে বর্ধমান আদালতে ।
পলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , রায়নার সমসপুরের মালিকপাড়ার বাসিন্দা বকুল মালিক ও চাঁদ মালিক। তারা সহ কয়েকজন বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন রাত ১০ টা নাগাদ স্থানীয় পশ্চিমপাড়ার বটতলা থেকে হেঁটে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন । অভিযোগ ওই সময়ে সুবল মালিকের বাড়ির সামনে বিজেপির লোকজন লাঠি, রড, টাঙি প্রভৃতি নিয়ে তাঁদের উপর আচমকা হামলা চালায়। মারধরে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন জখম হন। জখমদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে গণেশ মালিক নামে ওই এলাকার বাসিন্দা তাঁদের বাঁচাতে যান ।তখন বিজেপির ওইসব লোকজন লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে ।এমনকি মেরে তাঁর পা-ও ভেঙে দেয় । আর্তনাদ শুনে আশপাশের লোকজন সেখানে ছুটে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম গণেশবাবুকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার কথা জানিয়ে বকুল মালিক রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ গা ঢাকা দিয়ে থাকা সুশান্ত মালিক ও প্রশান্ত মালিককে বুধবার গ্রেপ্তার করে ।এদিন সিজেএম এই দুই ধৃতের ৫ দিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
অন্যদিকে মেমারির দেবীপুরের পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম মালিককে মারধরের অভিযোগে পুলিশ নিশিরাগড়ের রঞ্জিত বাগ ও সুশান্ত নন্দীকে বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ।তারা বিজেপি কর্মী হিসাবেই এলকায় পরিচিত । পুলিশ জানিয়েছে, দেবীপুর পঞ্চায়েতের সদস্য উত্তম মালিক বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁর নিশিরাগড়ের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে গঙ্গাতলার কাছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা লাঠি, রড প্রভৃতি নিয়ে তাঁকে মারধর করে। স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তম মালিককে উদ্ধার করেন। হামলার কথা জানিয়ে ওইদিন রাতেই মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পঞ্চায়েত সদস্য।দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ রঞ্জিত ও সুশান্তকে গ্রেপ্তার করে । সিজেএম যদিও এই দুই ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেছেন।।