এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাঠমান্ডু,২৯ সেপ্টেম্বর : নেপালের তরুন প্রজন্মের জেন-জেড আন্দোলনের জেরে উৎখাত হওয়া দুর্নীতিবাজ বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পালানোর রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে । আন্দোলনের সময় তরুণদের গুলি করে মারার ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিশন অলির পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে । অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গৌরী বাহাদুর কার্কির নেতৃত্বে কমিশন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি সহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে কাঠমান্ডু ত্যাগ করতে নিষেধ করেছে। তাদের পাসপোর্ট বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছে।
বিচার বিভাগীয় কমিশনের সদস্য বিজ্ঞান রাজ শর্মার স্বাক্ষরিত একটা প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, যেহেতু ভাদ্রের ২৩ ও ২৪ তারিখের ঘটনার তদন্ত ও তদন্তের সময় নীচে বর্ণিত ব্যক্তিদের তদন্তাধীন রয়েছে, তাদের বিদেশ ভ্রমণ রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এবং যেহেতু তদন্তের জন্য তাদের যেকোনো সময় কমিশনে উপস্থিত হতে হবে, তাই কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কাঠমান্ডু উপত্যকা ত্যাগ করতে বাধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত । ওই ব্যক্তিরা হলেন : ১. প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, কে.পি. শর্মা অলি । ২. প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রমেশ লেখক । ৩. প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব, গোকর্ণ মণি দুওয়াদি। ৪. প্রাক্তন জাতীয় তদন্ত প্রধান, হুতরাজ থাপা । এবং ৫. প্রাক্তন প্রধান জেলা কর্মকর্তা, ছাবিলাল রিজাল ।
কমিশন তার দ্বিতীয় নম্বর সিদ্ধান্তে বলেছে,যেহেতু দেখা যাচ্ছে যে ২৩ ও ২৪শে ভাদ্রের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য গঠিত তদন্ত কমিশনের কার্যকরভাবে কাজ সম্পাদনের জন্য বিশেষজ্ঞসহ জনবলের প্রয়োজন, তাই অতিরিক্ত জনবলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, কমিশন কেবল নেতাদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি, বরং নেপাল পুলিশ, সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং জাতীয় গবেষণা বিভাগকে এই পাঁচ নেতার কার্যকলাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার এবং কমিশনে প্রতিদিনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য এই কঠোরতা অবলম্বন করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫), সহিংসতার পর ওলি তার প্রথম জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ওলি বলেছিলেন যে বর্তমান সুশীলা কার্কি সরকার একটি “জেন-জেড সরকার”, যা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নয় বরং সহিংসতা এবং প্রচারণার মাধ্যমে গঠিত। তিনি তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেন এবং স্পষ্ট করেন যে তার সরকার বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায়নি। তিনি তার পাসপোর্ট স্থগিত করা হয়েছে বা তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন এমন গুজবও অস্বীকার করেন।।