এইদিন ওয়েবডেস্ক,সাহারানপুর,০৫ জুলাই : উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের মায়াবতীর দলের প্রাক্তন এমএলসি(Member of Legislative Council) তথা খনি মাফিয়া হাজি ইকবাল(Haji Iqbal)এবং তার ছোট ভাই প্রাক্তন এমএলসি মেহমুদ আলির বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল যোগী সরকার । এসডিএম সদরের নেতৃত্বে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই অভিযান । সাহারানপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বাড়ির মানচিত্র অনুমোদন না করা সত্ত্বেও দুই ভাই বাড়ি তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ ।
সাহারানপুরের এসডিএম সদর কিংশুক শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘সাহারানপুরে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । জনকপুরী থানা এলাকার বাজোরিয়া রোডে অবস্থিত নিউ ভগত সিং কলোনিতে বেআইনিভাবে ৪টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।’ তিনি জানান, ‘তদন্তের পর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন এমএলসি হাজি ইকবাল এবং প্রাক্তন এমএলসি মাহমুদ আলিকে পরপর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু তারা কোনো নোটিশেরই জবাব দেয়নি । সেই কারণেই সোমবার থেকে সাহারানপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের টিম ও প্রশাসনিক কর্মীরা অবৈধ নির্মাণের উপর বুলডোজার চালাচ্ছে ।
জানা গেছে,জনকপুরি থানা এলাকার নিউ ভগত সিং কলোনিতে প্রাক্তন এমএলসি হাজি ইকবাল ও তার ভাই প্রাক্তন এমএলসি মাহমুদ আলীর পাশাপাশি দুটি বাড়ি রয়েছে । সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাড়ির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার কাজ । হাজী ইকবালের বাড়ির সামনে ও পাশ থেকে নয় ফুট অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে । তবে ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে মাহমুদের গোটা বাড়িটি ।
উল্লেখ্য,অতীতেও সাহারানপুর প্রশাসন হাজি ইকবাল ও তার সহযোগীদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে । এছাড়া গুন্ডাবাজি মামলার আসামী হাজী ইকবালের তিন ছেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে । হাজি ইকবাল ও তার ছোট ভাই প্রাক্তন এমএলসি মাহমুদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে ।
জানা গেছে, মায়াবতী সরকারের জমানায় ইউপি চিনিকল বিক্রিকে কেন্দ্র করে বড়সড় কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছিল । ২১ টি চিনিকল নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ । আর গিরিশো প্রাইভেট লিমিটেড (Girisho Pvt Ltd) ও নম্রতা মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড(Namrata Marketing Pvt Ltd) নামের ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে একদিনে ৭টি চিনিকল কিনেছিলেন হাজী ইকবাল । মায়াবতী সরকারের এই জালিয়াতির কারণে সরকারের ক্ষতি হয়েছিল ১,৭৭৯ হাজার কোটি টাকা । এই মামলায় ইডি এযাবৎ ইকবালের ১,০৯৭ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার ২৫০ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ।সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ২০১৯ সালে হাজি ইকবালের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে সব অবৈধ সম্পত্তি বেরিয়ে আসে । যার ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্তে নামে ।।