এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ সেপ্টেম্বর : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুনী চিকিৎসক ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ বা গনধর্ষণের পর নির্মম বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে তাড়াহুড়ো করে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ও শবদাহ করার অভিযোগ উঠছে । এক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদলের কিছু নেতার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে । এরই মাঝে রবিবার বিস্ফোরক দাবি করেছেন আর জি কর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক-চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। তিনি সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে জানান যে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে চাপ দিয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। এমনকি ‘রক্তগঙ্গা’ বওয়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই ব্যক্তি কোন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তা জানাতে পারেননি ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক । কিন্তু তিনি হুমকি দেওয়া ব্যক্তির নাম জানাতে না পারলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আজ সোমবার তার নাম ফাঁস করে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
শুভেন্দু আজ এক্স-এ লিখেছেন,’ফরেনসিক ডাক্তার অপূর্ব বিশ্বাস, যিনি ৩১ বছর বয়সী জুনিয়র মহিলা ডাক্তারের পোস্টমর্টেম পরিচালনাকারী দলের সদস্য ছিলেন; আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুন, তলব করেছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিস্ফোরক কথা বলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন যে একজন লোক ছিল যে নিজেকে নির্যাতিতার কাকা বলে পরিচয় দিয়েছিল এবং হুমকি দিয়েছিল যে যদি দিনের শেষের মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন না হয় তবে ‘রক্তের নদী’ প্রবাহিত হবে।’এরপর তিনি লিখেছেন,’ওই ব্যক্তি ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। এই ব্যক্তি কে? ব্যক্তি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। তিনি পানিহাটি পৌরসভার প্রাক্তন সিপিআইএম কাউন্সিলর, যিনি পরে টিএমসিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং পানিহাটি টিএমসি বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়েছিলেন।’ শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’সবাই জানে নির্যাতিতাকে তাড়াহুড়ো করে দাহ করা হয়েছে। পুলিশ শ্মশানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছিল এবং শ্মশানে লাশটি নিষ্পত্তি করার জন্য একটি খুবই অসাধারণ তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল । পানিহাটির বিধায়ক; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী নির্মল ঘোষ নিজে উপস্থিত ছিলেন। আশ্চর্যের বিষয়, এই সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নিহতের আত্মীয় না হয়ে শ্মশান সনদে স্বাক্ষরকারী। নথিতে আরও একটি নাম/স্বাক্ষর রয়েছে – সোমনাথ দে। একই নামে পানিহাটি পৌরসভার আরেক প্রাক্তন টিএমসি কাউন্সিলর রয়েছেন। তিনি কি একই ব্যক্তি?’