শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৮ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বাজারের রবীন্দ্রপল্লী এলাকায় নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনায় অকুস্থলে তদন্তে এলো ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের দল। আজ বুধবার বিকেলে ৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞের দলের সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সিআই (এ) শৈলেন্দ্র উপাধ্যায়, ভাতাড় থানার ওসি বুদ্ধদেব ঢুলি সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা । মৃত দম্পতির বাড়ির বিভিন্ন ঘরগুলি দীর্ঘক্ষণ ধরে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন বিশেষজ্ঞরা । ঘটনাস্থলের একাধিক জায়গার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ভাতার বাজারের রবীন্দ্রপল্লী এলাকায় নিজের বাড়িতে খুন হন অভিজিৎ যশ (৭২) এবং সবিতা যশ (৬৫) নামে ওই নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতি । এই ঘটনায় সবিতাদেবীর সেজ বোন মহুয়া সামন্ত ওরফে কেয়া এবং তার দুই ছেলে অরিত্র সামন্ত(২২) এবং অনিকেত সামন্ত(১৮)কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে । বারবার টাকা চাওয়ায় বৃদ্ধ দম্পতির কাছে অপমানিত হওয়ার আক্রশেই মহুয়া সামন্ত তার দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । দীর্ঘ দুদিন দম্পতির দেহ দুটি তাদের বাড়ির মধ্যেই পড়েছিল । বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল৷ এদিকে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বর্ধমানের বাসিন্দা সবিতাদেবীর এক বোন সুপর্ণা চৌধুরী, বিষয়টি ভাতার থানায় জানায় । এরপর পুলিশকে সাথে নিয়ে পরিবারের লোকজন তালা ভেঙে ঘরে ঢুকলে দম্পতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে ।
আজ ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। এদিন দুপুর নাগাদ ভাতার থানায় হাজির হন চার সদস্যের একটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের দল। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকাবাসী। প্রতিবেশী সঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঘটনা খুবই আশ্চর্যজনক। কাছের মানুষই যে এই ধরনের ঘটনা ঘাটবে তা ভাবা যায় নি কখনো। বৃদ্ধ দম্পতি তো কাছের লোক ভেবেই বাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিল।’ তাঁর পরিণতি যে এমন হবে এটাও তারা কখনো ভাবতে পারেনি। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।।