এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৩ নভেম্বর : দূর্গাষ্টমীর দিন রাতে বাংলাদেশের কুমিল্লার নানুয়ারদীঘির পাড়ের একটি পূজামণ্ডপে হনুমান মূর্তির কোলে কোরান রাখার ঘটনায় ধৃত প্রধান অভিযুক্ত ইকবালসহ চার অভিযুক্তকে জেরা করে বিদেশের যোগসুত্র খুঁজে পেয়েছে কুমিল্লা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) । সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জানিয়েছেন, ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনায় বিদেশ থেকে পরিচালিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যোগসূত্র পাওয়া গেছে । যার মধ্যে রয়েছে অনেক স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । যেগুলো আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে ।’ এনিয়ে তদন্তও হবে বলেও তিনি এদিন জানান ।
ইকবালসহ চার আসামিকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার দুপুর আড়াইটায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দনকান্তি নাথের আদালতে হাজির করা হয় । প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল, মাজারের দুই খাদেম ও ৯৯৯-এ কল করা ইকরামকে তৃতীয় দফায় হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করে সিআইডি । সিআইডির তরফ থেকে ৫ দিনের হেফাজতে চাওয়া হলেও ৩ দিনের জন্য হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক ।
গত ১৩ অক্টোবর নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পরিকল্পিতভাবে হনুমান মূর্তির কোলে কোরান রেখে তা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় । তারপর কুমিল্লা,চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর চৌমুহনী, রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মন্দির, পূজামণ্ডপ, দূর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে । কয়েকজন সংখ্যালঘু হিন্দুকে নৃসংসভাবে কুপিয়ে পিটয়ে খুন করা হয় । ধর্ষিতা হন বেশ কিছু মহিলাও ।
তারপর সিসিটিভির ফুটেজের সুত্র ধরে মূল অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করে পুলিশ । পরে গত ২১ অক্টোবর তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় । ২২ অক্টোবর তাকে কুমিল্লায় আনা হয় । তারপর আদালতে তুলে তাকে হেফাজতে নেয় কুমিল্লা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) । গ্রেফতার করা হয় ৯৯৯-এ কল করা ইকরাম ও নানুয়ারদীঘির পাড়ের ওই পূজামণ্ডপের অদূরের একটি মাজারের দুই খাদেমকে । গ্রেফতারের পর থেকে ধৃতরা সিআইডির হেফাজতেই রয়েছে ।।