এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৬ মে : কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্র সরকার বেশ কয়েকটি রাজ্যকে নিরাপত্তা মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আগামী ৭ মে (বুধবার) যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এ মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষকেও মহড়া দেওয়া হবে । ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই সময়ে এমন পদক্ষেপের তাৎপর্য গভীর। কারণ, সর্বশেষ এমন মহড়া হয়েছিল ১৯৭১ সালে, যখন ভারত ও পাকিস্তান দুই ফ্রন্টে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। তখন ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করণীয় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যেসব প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
★ বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজলে কী করণীয়
★ বেসামরিক নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ
হঠাৎ ব্ল্যাক আউট হলে কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন পড়লে কী করণীয়
★ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া
★ মানুষ সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হালনাগাদ ও অনুশীলন
★ রাজ্যগুলোর সিভিল ডিফেন্সেরও উদ্ধারকাজ সংক্রান্ত মহড়া
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে ইসলামি সন্ত্রাসীরা হত্যা করার পর থেকে ভারত- পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়ছেই।
পাঞ্জাবের ফিরোজাবাদে মঙ্গলবার রাতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আধ-ঘণ্টার ব্ল্যাকআউট মহড়া হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখার অনুরোধ করেছিল। এই মহড়ার উদ্দেশ্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্ল্যাকআউট কৌশল প্রয়োগের প্রস্তুতি।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। মোদী বলেছেন, “যারা এই ষড়যন্ত্র করেছে বা হামলা চালিয়েছে তারা কল্পনাতীত শাস্তি পাবে।”
ইতিমধ্যে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেছেন মোদী। কাশ্মীরে হামলার বদলা নিতে সশস্ত্র বাহিনীকে পালটা আক্রমণের পূর্ণ স্বাধীনতাও দিয়েছেন । এর মধ্যেই এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে ৭ মে মহড়া পরিচালনার নির্দেশ দিল । তাতে অনুমান করা হচ্ছে ইসলামি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আসন্ন ।।