এইদিন ওয়েবডেস্ক,হরিশ্চন্দ্রপুর(মালদা), ২৪ সেপ্টেম্বর : ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বন্যাত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । এই অভিযোগ তুলে পুলিশের সামনেই ওই নেতাকে কার্যত গণধোলাই দিলেন ক্ষিপ্ত জনতা । পুলিশ নেতাকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় । ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বরোই গ্ৰাম পঞ্চায়েতের চোপালমোড় এলাকায় । ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় । শেষে পুলিশ ওই নেতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে ৷
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রহৃত তৃণমূল নেতার নাম কুনালকান্তি দাস । তাঁর স্ত্রী পম্পা রায় তৃনমুল পরিচালিত বরোই গ্ৰাম পঞ্চায়েতের একজন সদস্যা।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ বন্যা ত্রাণের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ ওঠে বরোই গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ।ইতিমধ্যেই তার তদন্ত শুরু হয়েছে । সেই তদন্তে উঠে আসে এক ব্যাক্তির নামে একাধিক এ্যাকাউন্ট খুলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মহিলা সদস্যের স্বামী কুনাল কান্তি দাস । তারপর থেকে তিনি বেশ কিছু দিন গাঢাকা দিয়ে ছিলেন । কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রামের রাস্তায় যেতে দেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে ধরে । তারপর আটকে রেখে চলে গণধোলাই । তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দূর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেও সরাসরি দলীয় প্রধানকে নিশানা করেন কুনালকান্তি দাস । তাঁর কথায়, ‘বরোই গ্ৰাম পঞ্চায়েতে দূর্নীতি । আর এই দূর্নীতির সঙ্গে স্বয়ং প্রধান জড়িত ।’
বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর মণ্ডল-১ দক্ষিণের মণ্ডল সভাপতি ভূপেশ আগরওয়াল বলেন, ‘মহানন্দা বাঁধের পূর্ব দিকের ৩ টি বুথ ২০১৭ সালের বণ্যায় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু বাঁধের পশ্চিমদিকের বুথগুলিতে কিছুই হয়নি । অথচ ওই সমস্ত বুথগুলির এক একটি পরিবারে ৩-৪ জন করে ৭০ হাজার টাকা করে পেয়েছে ৷ অথচ যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ তাদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি । এই দূর্নীতির ঘটনায় শুধু ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীই নয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক কর্মীরাও জড়িত । প্রশাসনের উচিত এর তদন্ত করা ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বলে ‘খেলা হবে।’ সত্যই বলে । আগামী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসল খেলা খেলবে জনতা জনার্দন ।’
অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মহেন দাস বলেন, ‘বণ্যার সময় ২০১৭ সালে বরোই গ্ৰাম পঞ্চায়েতে জাতীয় কংগ্রেসের বোর্ড ছিল । ওরা দূর্নীতি করে তার দায় আমাদের উপর চাপিয়েছে ।’ পাশাপাশি দলীয় সদস্যার স্বামীকে গনধোলাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস,সিপিএম আর বিজেপি মিলে মানুষকে খেপিয়ে দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে । পুলিশকে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে ।’।