এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৭ ডিসেম্বর : আজ রবিবার ব্রিগেডে ‘পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠান ঘিরে গেরুয়াময় হয়ে গেলো কলকাতা । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ওডিশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, এমনকি বাংলাদেশ, নেপাল থেকেও বহু মানুষ যোগ দেয় এই অনুষ্ঠানে । বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, তথাগত রায়, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। নিজের আসন ছেড়ে মাটিতে বসে গীতাপাঠ শোনেন শুভেন্দু। দুপুর ১২টা ১৫ নাগাদ ব্রিগেডে পৌঁছান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। মঞ্চে বক্তব্য রাখেন তিনি ।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদ্মভূষণ মূর্তি সাধ্বী ঋতম্ভরা,বাগেশ্বরধাম সরকার ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, রামদেব বাবা প্রমুখ । কিন্তু আয়োজক “সনাতন সংস্কৃতি সংসদ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণের দাবি করলেও ব্রিগেডের ত্রিসীমা দিয়ে দেখা যায়নি তাকে ।
গীতাপাঠের জন্য তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। তার মধ্যে ‘পার্থসারথি মঞ্চ’ হল মূল মঞ্চ। তার বাম পাশে ‘চৈতন্য মহাপ্রভু মঞ্চ’ এবং ডান পাশে ‘শঙ্করাচার্য মঞ্চ’। ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় ২৫টি গেট। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার সাধুসন্তরা যোগ দেন। আরতির পর সকাল সাড়ে ১০ নাগাদ শুরু হয় বেদ ও গীতাপাঠ। তা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য রবিবার ভোর থেকে হাওড়া স্টেশন চত্বরে মানুষের ঢল নামে। গীতাপাঠের আয়োজকের পক্ষ থেকে হাওড়ায় দু’টি সহায়ক ক্যাম্প খোলা হয়। তারা জানালেন, শান্তি, সাম্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তাঁরা গীতাপাঠে যোগ দিয়েছেন। গত বছর ব্রিগেডে হয়েছিল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’।
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ প্রধান কার্তিক মহারাজ বলেন, বলেন, আয়োজন একদম পূর্ণাঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন। চতুর্দিক থেকে ফোন আসছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অসুবিধা হয়নি। ভাল সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি, কোনও অসুবিধা নেই । গীতা পাঠের অনুষ্ঠানকে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ২০২৬ সালের বিধানসভার ভোটের সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইলেও সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে গীতাপাঠের কোনও সম্পর্ক নেই ।’।

