এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ সেপ্টেম্বর : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসক ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ-খুনের পর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অনেক ‘কুকীর্তি’ প্রকাশ্যে আসছিল । দুর্নীতির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দীপকে । পরে তাকে ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ-খুনের মামলায় শোন অ্যারেস্ট(Shown Arrest) করে সিবিআই । তারপর থেকে সন্দীপ ঘোষের রেজিট্রেশন বাতিলের জোরদার দাবি উঠছিল । অবশেষে সেই দাবি মেনে সন্দীপ ঘোষের রেজিট্রেশন বাতিলের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্য়াল অ্যাসোসিয়েশন । এনিয়ে স্টেট ন্যাশানাল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর । তাই সন্দীপ ঘোষের রেজিট্রেশন বাতিল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে ।
এদিকে সিবিআই এখনও পর্যন্ত কলকাতার শিয়ালদায় একটি বিশেষ আদালতের আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী প্রশিক্ষণার্থী ডাক্তারকে গণধর্ষণের অভিযোগের সমর্থনে কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি বলে জানা গেছে । তবে সিবিআই জানিয়েছে তদন্ত চলছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের হেফাজত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সিবিআই। সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি উঠেছে যাতে দলটি সমস্ত সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ধর্ষণ-খুনে প্রমাণ লোপাটের মামলায় তদন্ত পরিচালনা করতে পারে। উভয় অভিযুক্তকে তিন দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে ছিল এবং আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এখন তার হেফাজতের মেয়াদ ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার শুনানির সময়, সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মন্ডলের কল রেকর্ডিং, ডিভিআর, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মামলা সম্পর্কিত অন্যান্য ডেটা সম্পর্কিত আরও তদন্ত করার কথা ছিল। সিবিআই বলে, এই মামলার হেফাজতমূলক বিচার প্রয়োজন। সিবিআই আইনজীবী আদালতে জানান যে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুজনেই সহযোগিতা করছেন না। তাই তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের দাবি জানিয়েছে তিনি । মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জামিন না দেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন শিয়ালদা বারের আইনজীবীরা ।।