এইদিন ওয়েবডেস্ক,খার্তুম,১৯ এপ্রিল : সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ের কারণে হাজার হাজার বাসিন্দা বুধবার সুদানের রাজধানী ছেড়ে পালিয়েছে । এযাবৎ সংঘর্ষে প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছে । এদিকে ২৪ ঘন্টার যুদ্ধবিরতির পর বুধবার পঞ্চম দিনে ফের তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে । ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলকারী দুই জেনারেলের বাহিনীর মধ্যে শনিবার সংঘর্ষ শুরু হয় । সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান সেনাবাহিনীর এবং তার ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান ডাগলো আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ এবং ভারী গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,মধ্য খার্তুমের সেনা সদর দফতরের চারপাশের ভবনগুলি ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় । একদিকে যুদ্ধবিমান নিয়ে আরএসএফ- এর ঠিকানায় বোমাবর্ষণ করছে । অন্যদিকে তখন ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ বোঝাই সাঁজোয়া যান ও পিক-আপ ট্রাকের উপরে আরএসএফ যোদ্ধারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে খার্তুমের রাস্তায় । এদিকে গৃহবন্দী মানুষ খাদ্য ও পানীয় জলের ঘাটতি,বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়েছে । ফলে বুধবার ভোর হতেই হাজার হাজার পুরুষ, মহিলা,ও শিশু ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়ে । কিছু মানুষকে গাড়িতে এবং বাকিদের পায়ে হেঁটে সড়পথগুলি ধরে হাঁটতে দেখা যায় ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,রাস্তাগুলো মৃতদেহে ছেয়ে গেছে । মৃতদেহগুলি গলে গিয়ে প্রচন্ড দুর্গন্ধে বাতাস ভরে গেছে । এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারনে সুদান সরকার হাজার হাজার বিদেশীকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে, তাদের মধ্যে অনেক জাতিসংঘের কর্মীও রয়েছে । জাপান বুধবার বলেছে যে তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দূতাবাসের কর্মী সহ প্রায় ৬০ জন নাগরিককে সুদান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে । জাতিসংঘের মতে,এযাবৎ যুদ্ধে অন্তত ১৮৫ জন নিহত এবং ১,৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে । তবে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে । অনেক আহতরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পর্যন্ত পারেনি । ফলে বিনা চিকিৎসায় বহু মানুষের বেঘোরে প্রাণ চলে যাচ্ছে ।।