এইদিন ওয়েবডেস্ক,কক্সবাজার,১৭ জুন : নিজের দেশ থেকে বিতাড়িতদের হওয়ার পর যে রোহিঙ্গাদের মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ তারাই এখন মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের । বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়েছে অপরাধ জগতের সঙ্গে । তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনাকে ।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সেদেশের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএনের) সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে । তবে হতাহতের কোনো খবর না থাকলেও উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা কার্তুজ ।
এই বিষয়ে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের নুরালীপাড়া সংলগ্ন পাহাড়বেষ্টিত গভীর অরণ্যে রোহিঙ্গা ডাকাত ও সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানায় ড্রোনের সাহায্যে অভিযান চালানো হয়। পাহাড়ের গুহা থেকে ৪ টি এলজি ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করতে পারলেও কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি ।
অন্যদিকে ৮-এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন জানান, ‘উখিয়া বালুখালী-১৮ নম্বর ক্যাম্পে সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায় বৃহস্পতিবার রাতে ৷ তারপর সেখানে এপিবিএন এর একটি দল অভিযান চালায় । এপিবিএন এর উপস্থিতি টের পেয়েই সন্ত্রাসবাদীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে । পালটা গুলি চালায় বাহিনী । শেষে সন্ত্রাসবাদীরা পিছু হটে পাহাড়ের দিকে ঢুকে পরে ।
তিনি আরও জানান,পরে ক্যাম্পে তল্লাশি চালিয়ে ভারী অস্ত্র একটি অটোমেটিক এসল্ট রাইফেল (COLT, USA) এবং বিপুল পরিমান তাজাগুলি উদ্ধার করা হয় । এখনো অভিযান চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন ।।