এইদিন ওয়েবডেস্ক,শ্রীনগর,১৬ জুলাই : শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী । শ্রীনগরে গুলির লড়াইয়ে খতম হল লস্কর-এ-তৈবার ২ সন্ত্রাসবাদী । এনকাউন্টারের পর পুলিশ,সেনা ও সিআরপিএফ মিলে জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে এলাকায় ।
জানা গেছে,নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এদিন সকালে গোপন সুত্র থেকে খবর আসে শ্রীনগরের দানমার এলাকায় আলমদার কলোনীতে কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে । খবর পেতেই সেনাবাহিনী গিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে । সেনার তরফ থেকে তাদের আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হয় । কিন্তু জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করে উলটে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গোলাগুলি শুরু করে দেয় । পালটা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী । শেষ পর্যন্ত গুলির লড়াইয়ে খতম হয় দুই সন্ত্রাসবাদী । কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, খতম সন্ত্রাসীরা উভয়ই লস্কর-ই- তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত ছিল । অভিযানের পর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
চলতি মাসে এনিয়ে দ্বিতীয় বার এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটল । এই বছরে এযাবৎ মোট ৭৮ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী । তার মধ্যে ৩৯ জন লস্কর-এ- তৈবার আতঙ্কবাদী । বাকিরা হিজবুল মুজাহিদ্দিন, অল- বদর, জৈশ-এ-মহম্মদ ও আনসার- গাজওয়াতুল-হিন্দ প্রভৃতি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছেন আইজিপি বিজয় কুমার ।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি উপত্যকায় লাগাতার সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিন কাশ্মীরের কুলগাম জেলার কাজীগুন্ড মিরবাজার এলাকায় দামজান রেলপথের আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল আতঙ্কবাদীরা । কিন্তু তাদের সে পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ৷ এরপর বৃহস্পতিবার দক্ষিন কাশ্মীরের পুলবামায় নিরাপত্তা রক্ষী ও জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে ৩ সন্ত্রাসবাদী খতম হয়েছিল । কাশ্মীরের আইজিপি জানিয়েছিলেন, নিহত সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজন ছিলেন লস্কর-এ-তৈয়বার পাকিস্তানি কমান্ডার এজাজ ওরফে আবু হুরায়রা । বাকি দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা । মৃতদের কাছ থেকে দুটি একে-৪৭ সাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার হয়েছিল । প্রায় আট ঘন্টা ধরে চলে অপারেশন । এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা একাধিক রাষ্ট্রবিরোধী কাজকর্মের সাথে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন কাশ্মীরের আইজিপি ।।