এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,১২ নভেম্বর : এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লেবাননের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল্লাহ সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরাল্লাহ তার প্রথম ভাষণ দেন । লেবাননের একটি অজানা বাঙ্কার থেকে একটি বক্তৃতায়, তিনি হিজবুল্লাহর মৃতদের পরিবারকে সম্বোধন করে জানিয়েছিল যে খতম হওয়া হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসীরা “সন্ত” এবং “শহীদ” । মৃত সন্ত্রাসীদের পরিবারগুলিকে মনে করিয়ে দিয়ে নাসরাল্লাহ বলেছিলেন যে মৃতরা “মৃত নয় এবং তারা ঈশ্বরের পাশে বাস করছে । “
শনিবার ফের হাসান নাসরাল্লাহর একটা ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে । সেই সময় তিনি “শহীদ দিবস” স্মরণের জন্য ডাক দিয়ে ইসরায়েল -হামাস যুদ্ধে খতম হওয়া সন্ত্রাসীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’শহীদরা আল্লাহর অনুগত ।’ তিনি কোরানের আয়াত পাঠ করেন এবং ‘শহীদ’দের আশীর্বাদ করেন: “তওরাত, নিউ টেস্টামেন্ট এবং কোরান অনুসারে – সকলেই আল্লাহর ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই কাজ করেছে, আল্লাহর তাদের পুরস্কৃত করবেন এবং এটিই হল মহান বিজয়। আল্লাহর জন্য যুদ্ধ কর, হত্যা কর এবং নিহত হও। আল্লাহর জন্য হত্যাই বিজয়ের পথ ।’
তিনি বলেন,’এটা সেই শহীদদের রক্ত যারা আমাদের অঞ্চলে আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তরবারিকে জয়ী করেছে, বিশেষ করে গত বছর ও মাসে ।’ নাসরাল্লাহ আরও বলেন,’শহীদরা কর্মের মানুষ এবং জিহাদ ছিল তাদের অধ্যবসায় । তারা মহান আত্মত্যাগের মানুষ । তারা আল্লাহের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মানুষ । তাদের রক্ত এবং প্রচেষ্টা ব্যর্থ যাবে না ।’ হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেছেন,’আমি প্রত্যেক শহীদকে অভিনন্দন জানাই । ১৯৪৮ সালে প্রতিরোধ শুরু হওয়ার পর প্রথম শহীদ থেকে শেষ শহীদ, যাকে আজ সমাহিত করা হল,তাদের প্রত্যেককে আমি অভিনন্দন জানাই, বিশেষ করে হিজবুল্লাহর শহীদদের ।’
নাসরাল্লাহ তার বক্তৃতায় ১১.১১ আত্মঘাতী হামলাকে ‘একটি উচ্চ-মানের, বিশেষ অ্যাকশন এবং দুর্দান্ত’ বলে অবিহিত করে বলেন,’আমরা এরিয়েল শ্যারনের মুখ দেখেছি, তখন সে কতটা ফ্যাকাশে ছিল ।’ তিনি মুসলিম জোটের দেশগুলির কাছে একটি বার্তাও পাঠিয়ে বলেন,’যারা আগ্রাসন থামাতে পারে সেই আমেরিকানরাই এটি পরিচালনা করছেন । আমাদের প্রতিটি ফ্রন্টে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে ।’
নাসরাল্লাহ দাবি করেছেন যে গাজার যুদ্ধ হল ‘প্রতিশোধ, যা ইহুদিবাদী সত্তার প্রকৃতির সাক্ষ্য দেয়। ইহুদিবাদী কর্মকর্তারা যেটা অনুমান করেছিলেন তাতে ভুল করেছেন, তারা স্পষ্টভাবে একথা বলেছেন ।’ তার মতে,’শত্রুদের প্রধান লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি হল পরাধীনতা। ফিলিস্তিনিদের, লেবানিজদের, এই অঞ্চলের সমস্ত জনগণের পরাধীনতা। লক্ষ্য হতাশার সৃষ্টি করা, জনগণকে হতাশার মধ্যে টেনে নিয়ে যাওয়া । তারা আমাদের থামানোর চেষ্টা করছে। তারা গাজায় তার অপরাধের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের বলতে চাইছে- তোমার জমি ভুলে যাও, তোমার বন্দিদের এবং তোমাদের পবিত্র স্থানগুলো ভুলে যাও । সাগর থেকে নদী পর্যন্ত প্যালেস্টাইনকে ভুলে যাও ।’এদিকে কেউ কেউ নাসরাল্লাহর বক্তৃতার পর তার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছেন ৷।