এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফরিদপুর(বাংলাদেশ),০২ জুলাই : ৭ বছরের প্রতিবেশী শিশুকে পাঁচ টাকার কয়েন দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৫০ বছরের প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে । মানবতাকে লজ্জিত করার মত এই ঘটনাটি ঘটেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে । শুধু তাইই নয়, ঘটনার কথা পুলিশকে জানালে নির্যাতিতা শিশুর মায়ের গলায় ধারলো অস্ত্র ধরে শিরোচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । যদিও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মো. দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়া (৫০) নামে ওই ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ । পাশাপাশি শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ।
অভিযুক্ত কুমকুম মিয়ার বাড়ি গট্টি ইউনিয়নের সিহংপ্রতাপ পশ্চিমপাড়ায় । তবে সে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকে । তার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও দুই ছেলে । অন্যদিকে নির্যাতিতা শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে । মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথেই পড়ে কুমকুম মিয়াদের বাড়ি । কিছুদিন ধরে সে গ্রামের বাড়িতেই রয়েছে ।
জানা গেছে,গত কয়েকদিন ধরে শিশুটির হাতে একটা করে ৫ টাকার কয়েন ধরিয়ে দিয়ে পাশের একটি গোয়ালে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করছিল দেলোয়ার হোসেন কুমকুম মিয়া । বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পারলে শুক্রবার রাতে দেলোয়ারকে ধরে মারধর করে ছেড়ে দেয় । কিন্তু নির্যাতিতা শিশুর পরিবার চাইছিল ধর্ষক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে । কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গ্রামের মাতব্বররা মিমাংসা করে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে । কিন্তু তা মানতে চায়নি শিশুর মা । অভিযোগ, তখন ওই মহিলার গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে শিরোচ্ছেদের হুমকি দিয়ে মীমাংসায় করে নিতে বাধ্য করে দুষ্কৃতীরা ।
জানা গেছে,ঘটনার কথা কোনও ভাবে এলাকার সাংবাদিকদের কানে যায় । তখন ওই সাংবাদিকরাই ঘটনার কথা সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিককে জানিয়ে দেয় । এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। । ওসি জানিয়েছেন,অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে । পাশাপাশি শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । তবে এযাবৎ এনিয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে তিনি জানান ।।