এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাঠানকোট,১৫ নভেম্বর : দিল্লির লাল কেল্লার পাশে আত্মঘাতী হামলার মামলায় পঞ্চম সন্ত্রাসী ডাক্তার গ্রেপ্তার হয়েছে ৷ পাঞ্জাবের পাঠানকোটের মামুন ক্যান্টের (Mamoon Cantt) একটি মেডিকেল কলেজের সিনিয়র সার্জন ডাঃ রইস আহমেদ ভাট (Dr. Raees Ahmed Bhatt) হল সেই “হোয়াইট কলার টেররিজম বাস্তুতন্ত্র”-এর অন্যতম সদস্য । সে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা। দিল্লি বিস্ফোরণের প্রধান অভিযুক্ত ডাঃ উমরের সাথে ডাঃ ভাটের যোগসূত্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে । তদন্তকারী সংস্থাগুলি বর্তমানে এই সন্দেহজনক যোগসূত্রটি তদন্ত করার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ডাঃ রইস আহমেদ ভাট গত তিন বছর ধরে মামুন ক্যান্টের হোয়াইট মেডিকেল কলেজে সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিল । হাসপাতালের ব্যবস্থাপক স্বরণ সালারিয়া জানিয়েছেন, গতকাল গভীর রাতে হঠাৎ করেই তাকে এজেন্সির কর্মকর্তারা তুলে নিয়ে যান। তদন্তে জানা গেছে যে ডঃ রইস ভাট পূর্বে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Al Falah University) চার বছর কাজ করেছিল । এটি সেই একই বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে একটি “সাদা-কলার সন্ত্রাসী মডিউল”-এর সাম্প্রতিক তদন্তের সময় বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন চিকিৎসকের নাম সামনে আসে । মনে করা হচ্ছে যে ডঃ ভাট এখনও সেখানে নিযুক্ত কিছু কর্মচারীর সাথে যোগাযোগ করছে । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হল ডঃ ভাট দিল্লি বোমা হামলার প্রধান অভিযুক্ত ডঃ উমরের সাথে যোগাযোগ করেছিল, যে কারণে তাকে ধরা হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখন আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মীদের বিরুদ্ধে তাদের তদন্ত তীব্রতর করছে। দলগুলি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছে এবং পূর্বে সেখানে কাজ করা সমস্ত কর্মচারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। তাদের নাম, পদ এবং চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে সন্ত্রাসী যোগসূত্রের অভিযোগে আরও চারজন ডাক্তার (মুজাফফর আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথের, মুজাম্মিল শাকিল এবং শাহিনা সাঈদ) ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে । ডাঃ রইস আহমেদ ভাট হল পঞ্চম সন্ত্রাসী ডাক্তার ।।
Author : Eidin.

