এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফরিদপুর(বাংলাদেশ),১৮ জানুয়ারী : পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকালের নামাজের সময় দুই গ্রামের সমস্ত পুরুষ ও নারীরা মসজিদে জড়ো হয়ে গিয়েছিল । অবশ্য তারা কেউই নিরস্ত্র ছিল না৷ বাড়িতে লাঠি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধারাল অস্ত্র যা কিছু পেয়েছিল সব সাথে করে আনে । নামাজ পর্ব মিটতেই ২ মসজিদের ইমাম মাইকে “হামলা”র কথা ঘোষণা করতেই দুই গ্রামের শত শত সশস্ত্র মানুষ একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে । শীতের শান্ত সকাল মুহুর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহেরা নেয় । আজ শনিবার সকালে এমনই এক সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বাসিন্দারা । সংঘর্ষে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। পাশাপাশি দেদার চলে ভাঙচুর,লুটপাট ও মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা । ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর মিলে অন্তত ২০ জায়গায় গনলুট হয় বলে খবর । এই সংঘর্ষের ঘটনাটি বাংলাদেশের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার সলিথা ও মিরাকান্দা গ্রামবাসীর মধ্যে হয়েছে বলে জানা গেছে ।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে সলিথা গ্রামের আয়োজনে ওয়াজ মাহফিল হয়। ওয়াজ মাহফিলে কয়েকজন তরুণের মধ্যে হাতাহাতির হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে আজ সকালে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সরকি, কাতরা, রামদা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।