দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৪ অক্টোবর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ও কালনায় ভাগিরথী থেকে কুমির উঠে এসে লোকালয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনা এখনো ভুলতে পারছে না স্থানীয় বাসিন্দারা । আজ শনিবার মহালয়ার দিন তারই প্রভাব লক্ষ্য করা গেল কাটোয়ায় । প্রতিবছর কাটোয়া শহরের ছয়টি স্নানঘাট মিলে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। এমনকি ভাগীরথীর অপর পাড়ে নবদ্বীপের ঘাটে গিয়েও তর্পন করেন অনেকেই । তবে এদিন কাটোয়ার মরিঘাটের কাছে ভিড় ছিল তুলনামূলক অনেম কম ছিল ।
এদিকে কুমির যাতে পূণ্যার্থীদের কাছে ঘেঁষতে না পারে সেজন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছিল বনদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন । প্রতিটি ঘাটে ভেসেল ও নৌকার মাধ্যমে নজরদারির চালাচ্ছিল বনদপ্তর ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা । পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কাছে তদারকি করছিলেন খোদ কাটোয়া বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিসার শিবপ্রসাদ সিংহ । কুমির যাতে কোনো ভাবেই ভাগিরথীর ঘাটের কাছে না ঘেঁষতে পারে,সেজন্য মাঝে মাঝেই ফাটানো হচ্ছিল জলবোমা । শুধু তাইই নয়,ঘাট থেকে নদীর জলে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে লাগানো হয়েছিল বিশেষ ধরনের জাল । এদিকে নদীর পাড়ে প্রহরায় থাকা পুলিশ সতর্ক নজর রাখছিল যাতে কোনো পূণ্যার্থী বেশি জলে না নামেন ৷ এমনই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আজ মহালয়ার দিনে কাটোয়ার ভাগিরথী পূণ্যস্নান ও পিতৃতর্পণ সারলেন পূণ্যার্থীরা ।
বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিসার বলেন,’কাটোয়া ও কালনায় নদী থেকে উঠে লোকালয়ের মধ্যে কুমির ঢুকে পড়ার ঘটনার পর আজকের এই বিশেষ দিনে পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছিল । যদিও এদিন ভাগিরথীতে কোনো কুমিরের দেখা মেলেনি । নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে পূণ্যস্নান ।’।